1. info@www.jayjaysomay.com : দৈনিক যায়যায় সময় :
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
রৌমারী সিমান্তে ৭৭ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করেন বিজিবি প্রবাসে ফেরার পথে ঢাকায় প্রবাসীর মৃত্যু  টাঙ্গাইলে সাংবাদিক ইউনিয়নের আত্মপ্রকাশ , কমিটি গঠন নির্বাচনের পূর্বে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে -রাশেদ প্রধান ধামইরহাট থানা হেফাজত থেকে এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র চুরির অভিযোগ উঠেছে  গাজীপুরে টাকার বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে  কাশিমপুরে সরকারী জমীতে প্রাচীন নির্মাণ,জবরদখল উচ্ছেদে ব্যর্থ বন বিভাগ চিরিরবন্দরে দুই ঘন্টার ব্যবধানে ট্রেনে কাটা পড়ে দু’জনের মৃত্যু চিরিরবন্দরে দুই ঘন্টার ব্যবধানে ট্রেনে কাটা পড়ে দু’জনের মৃত্যু পাবনায় ডিবি পুলিশের অভিযানে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

পাবনায় বারো বছরেও শেষ হয়নি জনগণের ভোগান্তি

পাবনা প্রতিনিধি:-
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে

ভোর চারটা থেকে শুরু করে পুরো ভোরজুড়ে কালো মেঘে ঢাকা ছিল পাবনার আকাশ। ঘড়ির কাঁটায় ছয়টা বাজার কিছুক্ষণ পরই নামে ঝুম বৃষ্টি। টানা দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা স্থায়ী ওই বৃষ্টিতে শহরের অধিকাংশ এলাকা, বিশেষ করে সড়ক ও অলিগলি তলিয়ে যায় পানিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ টার্মিনাল এলাকা সংলগ্ন মুজাহিদ ক্লাব রোডসহ অন্যান্য রাস্তা।

এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ শহরের প্রাণকেন্দ্রে যাতায়াত করে। কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে ভ্যানচালক, অটোরিকশাচালক, মোটরসাইকেল আরোহীসহ নানা প্রকার যানবাহনের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। সৃষ্টি হয় দুর্বিষহ পরিস্থিতির।

সোমবার (২৬ মে) সকালে মাত্র দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতেই এই দুরবস্থার সৃষ্টি হয়। সকাল ছয়টার পর শুরু হওয়া মুষলধারে বৃষ্টিতে শহরের নানা জায়গায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।

সরেজমিনে দেখা যায়, মুজাহিদ ক্লাব এলাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল্লায় হাঁটুপানি পার হয়ে মানুষকে গন্তব্যে ছুটতে হচ্ছে। অফিস-আদালতগামী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

এক শিক্ষার্থী বলেন,
“কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলেই আমাদের এলাকায় পানি জমে যায়। হাঁটু সমান পানি পেরিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছি। আজ আমার পরীক্ষা, কিন্তু যানবাহনও পাচ্ছি না। যদি রাস্তাঘাট ও ড্রেনের অবস্থা ভালো হতো, তাহলে আমাদের এত কষ্ট করতে হতো না।”

এক রিকশাচালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“পৌরসভায় ট্যাক্স দিই শুধু হাটুপানির জন্য? এত ট্যাক্স দিচ্ছি অথচ সুবিধা কিছুই নেই। বৃষ্টি হলেই এই রাস্তা পুকুরে পরিণত হয়, আর একটু বেশি বৃষ্টি হলেই সাগর মনে হয়। আজকের এই ভোগান্তি কী করে বলি!”

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে একই চিত্র দেখে আসছেন তারা। নানা প্রতিশ্রুতি থাকলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো এলাকা পানিতে থৈ থৈ করে।

তাদের প্রশ্ন, “এই জনদুর্ভোগ থেকে কবে মুক্তি মিলবে? আদৌ কি মিলবে?”

এমন প্রশ্নের উত্তরে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ওবায়েদ-উল হক বলেন,আমরা জনদূর্ভোগ এর ব্যাপারে কাজ করছি,আমাদের দেওয়া টেন্ডার পাশ হয়েছে।আমরা আশা করি তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই জনদূর্ভোগ নিরসন হয়ে যাবে এমন আশা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট