ধান চাষে দেশসেরা নওগাঁ জেলা। নিয়ামতপুর উপজেলা এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। জেলার ১১ টি উপজেলার মধ্যে নিয়ামতপুরে সবচেয়ে বেশি আমন রোপণ করা হয়েছে। পরিমিত ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় সেচ ছাড়াই কৃষকেরা ধান রোপণ করতে পেরেছেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবারে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে কৃষিবিদরা। কৃষকরা আগাছা তোলা, পোকামাকড় দমন করতে স্প্রে করা, জমির পানি দেখাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে নিয়ামতপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ৩০ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে আমন চারা রোপণ করা হয়েছে। স্বর্ণা জাতের ধান বেশি রোপণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকদের দম ফেলার সুযোগ নেই। ধান গাছ পরিচর্যা, কীটনাশক স্প্রে করা আর আকাশের পানি জমিতে আটকিয়ে রাখার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষকরা। যেন দ্রুত গতিতে বেড়ে উঠছে আমনের গাছ।
উপজেলার ভাবিচা গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল সরকার জানান, এবারে মাঠের ফসলে তেমন কোন রোগ বালাই নাই । কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারে আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তিনি।
একই গ্রামের কৃষক গোপাল প্রামাণিক জানান,
নিজের ও বর্গাসহ প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছি। আকাশের পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আর তেমন কোন প্রকার রোগ বালাই না থাকার কারনে এবারে আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি। একই সাথে আমনের ভাল দাম পেলেই তারা লাভবান হবেন বলে জানান।
নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এবারে আমাদের রোপা আমন ধান রোপনের লক্ষমাত্রা ৩০হাজার ৫শ ৫হেক্টর, অর্জিত হয়েছে ২৬ হাজার ২৩০ হেক্টর। বাকীটা আউশ ধান এখন মাঠে আছে, কিছু কিছু কাটা শুরু হলেও মাস খানেকের মধ্যে আমন ধান রোপন করা হয়ে যাবে এবং লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হবে। এখন কৃষক জমিতে সার এবং কীটনাশক প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমি নিজেসহ সকল অফিসাররা কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য মাঠে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।