রায়পুর পৌরসভা সরকারি নথিতে প্রথম শ্রেণির হলেও বাস্তবে নাগরিকরা সেই মানের কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না। পৌর এলাকার রাস্তাঘাট, পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং আলোকসজ্জার অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে ভুগছেন।
সম্প্রতি রায়পুর সরকারি মার্চেন্টস একাডেমি ও উপজেলা প্রশাসন লাইব্রেরীর সামনে পাকা সড়কের ওপর ইটের সলিং দিয়ে মেরামত করা হয়। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই সেখানে আবার গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছ
পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন পড়ে আছে। সামান্য বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, ফলে জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষা মৌসুমে এ সমস্যা আরও প্রকট হয়ে
সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় শহরের পানি নিষ্কাশনে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। অনেক ওয়ার্ডে এখনো নিরাপদ পানির লাইন পৌঁছায়নি। পৌরবাসীদের একাংশ এখনো টিউবওয়েলের ওপর নির্ভরশীল।
শহরের বিভিন্ন প্রধান ও উপ-সড়কে স্থাপিত বৈদ্যুতিক বাতিগুলো নিয়মিত জ্বলে না। এতে রাতের বেলায় পথচারীদের চলাচলে নিরাপত্তার অভাব দেখা দেয়।
প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও নাগরিক সেবা যথাযথভাবে পৌঁছাচ্ছে না বাসিন্দাদের কাছে। নালার সাফাই, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কিংবা জনস্বাস্থ্য সেবা—কোনোটিতেই নেই নিয়মিত কার্যক্রম। অথচ পৌরবাসীরা নিয়মিত হারে কর দিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, “আমরা পৌর কর দিচ্ছি নিয়মিত, কিন্তু সেই অর্থের সঠিক ব্যবহার কোথায় হচ্ছে তা জানি না। পৌরসভা যেন শুধুই কাগজে-কলমে প্রথম শ্রেণির, বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই
স্থানীয় নাগরিকরা পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন অবিলম্বে রাস্তাঘাট সংস্কার, জলাবদ্ধতা নিরসন, ড্রেনেজ উন্নয়ন ও বৈদ্যুতিক বাতির কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি নাগরিক সেবা নিয়মিত ও জনবান্ধব করা জরুরি বলে তারা মত দিয়েছেন।
রায়পুর পৌরসভার বাস্তব চিত্র যদি দ্রুত বদলানো না হয়, তাহলে উন্নয়নের ধারা কেবল পোস্টারে আর বক্তৃতাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে। বাস্তব সেবা নিশ্চিত না হলে, নাগরিকদের আস্থা হারিয়ে যাবে প্রশাসনের ওপর।