1. info@www.jayjaysomay.com : দৈনিক যায়যায় সময় :
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বিশ্বের সবচেয়ে দামি পোশাক পরিবর্তন, হিজরী নববর্ষের কাবার কিসওয়ায় নতুন রূপে ময়মনসিংহের পর্নোগ্রাফি মামলায় ঝালকাঠির যুবক গ্রেফতার বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস পালিত লক্ষ্মীপুর সদরে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালিত  জয়পুরহাট কালাইয়ে বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফার শো-ডাউন এইচএসসি পরিক্ষার শুরুতেই কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ, ১০ শিক্ষক অব্যাহতি ৩ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার ইচ্ছেমতো সময়ে আসেন শিক্ষক, দপ্তরীর ব্যস্ততা বাড়ির কাজে ধামইরহাট পৌরসভা পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপন্নতা যাচাই কর্মশালা নিয়ামতপুরে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৩৮ পরীক্ষার্থী

ইচ্ছেমতো সময়ে আসেন শিক্ষক, দপ্তরীর ব্যস্ততা বাড়ির কাজে

নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

নলছিটি উপজেলার ৩৭ নং মধ্য গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অনুপস্থিতি ও অনিয়মে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় দেখা যায়, ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে শুধু সহকারী শিক্ষিকা মোসাঃ সালমা আক্তার উপস্থিত। তিনি ক্লাস ওয়ান ও টু-এর শিক্ষার্থীদের একত্র করে এক কক্ষে ক্লাস নিচ্ছেন। বাকিদের মধ্যে দু’জন ছুটিতে, আরেকজন মোসাঃ মুন্নী আক্তার (নাসরীন) তখনো স্কুলে উপস্থিত হননি।

সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে তড়িঘড়ি করে বিদ্যালয়ে পৌঁছান ওই শিক্ষিকা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি অসুস্থ ছিলেন। তবে ছুটি নিয়েছেন কি না জানতে চাওয়া হলে কোনো স্পষ্ট উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।

নৈশপ্রহরী কাম দপ্তরি মোঃ রিয়াজ হোসেন বিদ্যালয়ের দরজা খুলে বাজারে চলে গেছেন বলে জানান উপস্থিত শিক্ষিকা। ওয়াস ব্লকের কেচিগেট তালাবদ্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়ে। প্রায় ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই গেটের তালা খুলেন। দপ্তরির এমন অনিয়ম প্রতিদিনের ঘটনা বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন কাজ করানোর মতো অভিযোগ রয়েছে এই দপ্তরীর বিরুদ্ধে।

স্থানীয় অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসে থাকেন না। অনেকে হাজিরা দিয়ে বাড়ির কাজে চলে যান। এর ফলে শিক্ষার মানে ধস নামছে, স্কুলে শিক্ষার্থীও কমছে। গ্রামের কোমলমতি শিশুদের পড়ালেখা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।

প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা বেগম বলেন, “আমি ছুটিতে আছি। আমি জানি একজন সহকারী শিক্ষিকা ছুটিতে আছেন, অপরজন কেন সঠিক সময়ে আসেননি এবং দপ্তরি স্কুল চলাকালীন সময়ে ওয়াস ব্লকের তালা না খুলে কীভাবে বাড়ির কাজে বাজারে গেলেন এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানাতেও অনুরোধ করেন।

ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট