কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনাকে ‘কাতারের বিরুদ্ধে ইরানের আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সৌদি আরব। খবর বিবিসি’র।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও সুসম্পর্কের নীতিমালার সরাসরি লঙ্ঘন।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কাতারের পাশে আছে এবং কাতারের নেয়া সব পদক্ষেপে পূর্ণ সমর্থন ও সহায়তা দেবে।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতও একইভাবে ইরানের এই হামলাকে তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, এটি কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আকাশসীমার স্পষ্ট লঙ্ঘন।
ইরানি হামলার পর কাতারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছে বাহরাইনও।
এছাড়া গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের মহাসচিব বলেছেন, কাতারের ভূখণ্ডে ইরানের এই হামলা শুধু কাতারের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন নয়, বরং পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে ইরান আজ একযোগে কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) এই হামলার দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, এটি ছিল একটি “সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ” এবং এতে কোনো বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু ছিল না।
সূত্র জানায়, কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে, যেখানে মার্কিন ও যৌথ মিত্রবাহিনীর সেনারা অবস্থান করছিলেন। অপরদিকে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে সংঘটিত হামলায় অন্তত কয়েকটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ইরান এক বিবৃতিতে বলেছে,আমরা আগেই সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। সাধারণ জনগণের ওপর আমাদের কোনো হামলা নয়, লক্ষ্য শুধুই দখলদার মার্কিন ঘাঁটি।”
হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) এক জরুরি প্রেস বিবৃতিতে জানায়, তারা ঘটনার মাত্রা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করছে এবং তাদের বাহিনী সুরক্ষিত রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই হামলার প্রেক্ষিতে কুয়েত, বাহরাইন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে নিরাপত্তা সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ইতিহাসে নতুন এক উত্তপ্ত অধ্যায়। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক কূটনীতিক তৎপরতাও শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইরান সম্প্রতি একাধিকবার সতর্ক করেছিল যে, যদি তাদের ভূখণ্ড বা মিত্রদের ওপর আগ্রাসন চালানো হয়, তবে তারা সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানাবে।