সাংবাদিক পরিচয়ে কাশিমপুর এলাকায় প্রভাব বিস্তারকারী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ, বিবাহ প্রতারণা, পুলিশি দালালি, এবং নারী নির্যাতনসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণাঃ- পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে মামলা বানিজ্য, আসামী ধরা, ছেড়ে দেওয়া থেকে শুরু করে বনের জমিতে বাড়ী তৈরী, জায়গা দখলসহ এমন কোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নেই যে সে করেনা। কাশিমপুর থানার এক আসামীকে পুলিশের থেকে ছাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে। আসামীকে ছাড়িয়েও দেননি, এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। এ ব্যপারে ভুক্তভোগী মুক্তারুন্নাহার কাশিমপুর প্রেসক্লাবে মেহেদীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। অপর আরেক ঘটনায়
পানিশাইল এলাকার মোশাররফ মৃধা নামে এক ব্যক্তির বাসায় বৈধ গ্যাসের সংযোগ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নেয়। পরে বৈধ গ্যাস সংযোগ দিতে না পারায় তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে ১০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বাকী টাকা পরে দিবে বলে জানালেও ফেরত দেয়নি। পরে কাশিমপুর প্রেসক্লাবে এ ব্যপারে অভিযোগ দায়ের করেন। ক্লাব থেকে এ ব্যপারে তাকে কয়েকবার নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
পুলিশি দালালি ও মাদকের অভিযোগ:- মাদক ব্যবসায়ী ও পতিতাদের পুলিশ দিয়ে আটক করিয়ে পরে অর্থের বিনিময়ে ছাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মেহেদীর বিরুদ্ধে। এসব অপকর্মের সঙ্গে স্থানীয় কিছু পুলিশ সদস্যও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। লোহাকৈরের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। পরে মেহেদী ও ওই পুলিশ সদস্য টাকার বিনিময়ে ‘সমঝোতা’ করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিয়ে করে প্রতারণা, স্ত্রীর টাকায় ভোগ:- মানিকগঞ্জের বাড়িতে এক সন্তানের পিতা মেহেদী এরই মধ্যে ছয়টি বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে। প্রত্যেক স্ত্রীকে ঠকিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। কেউ প্রবাসে, কেউ চাকরিতে, কেউবা স্বামীর খোঁজ না পেয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন। একাধিক স্ত্রীর কাছ থেকে মাসিক খরচ নেওয়া, ঋণ করিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
আয় কোথায়?
বনের জমি দখল করে বাড়ী করা এক ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে তার থেকে ৬ শতাংশ জমি জোর করে দখল করে নেন। তারপর মেহেদী ও মনসুরের নামে বায়নাসূত্রে মালিকানার সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন। স্থানীয় ও ভূমি অফিস
সূত্রে জানাগেছে, কাশিমপুরের লস্করচালার ওই জমি সিএস ও এসএ তে বনের নামে রেকর্ড করা আছে। ৬ষ্ঠ স্ত্রীকে নিয়ে জিরানি এলাকায় ৮ হাজার টাকায় ভাড়া ফ্ল্যাট বাসায় থাকেন। অথচ তার নামীয় কোনও উল্লেখযোগ্য বৈধ আয় বা পেশাগত উৎস নেই। মনসুর নামে এক ব্যক্তিকে মেহেদী ক্যামেরাম্যান হিসেবে রেখেছে, অথচ তাকে কোথা থেকে দেয়া হয় টাকা! এ টাকার উৎস কি? ভুক্তভোগী এবং স্থানীয়দের দাবি—এ ধরনের প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।