1. info@www.jayjaysomay.com : দৈনিক যায়যায় সময় :
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন

যৌতুকের দাবিতে স্বামী শাশুড়ির গৃহবধূকে হত্যার চেস্টা

যশোর প্রতিনিধি:-
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

এক নরপিশাচ স্বামী ও শাশুড়ি বেটার বউ কে নির্মম নির্যাতন করেছে। ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া জঙ্গল বাঁধাল গ্রামের। আর তা ঘটেছে সোমবার ২৮ এপ্রিল সকাল ১০ টার দিকে।

জানা গেছে স্বামী ও শাশুড়ি যৌতুকের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে ওই গৃহবধূর উপর পাশবিক নির্যাতন করে আসছিল। আহত গৃহবধূ কে মঙ্গলবার নারায়ণপুর গ্রামবাসী শার্সা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ডাক্তার বলেছেন পরীক্ষার পর আঘাত সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে তার মুখ ও দেহে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট।

জঙ্গল বাঁধাল গ্রামের রউশনের ছেলে ইয়াসিন ও রাউশনের বউ জোহরা এদিন সকালে উল্লেখিত সময়ে কোন কারণ ছাড়াই তাহমিনা খাতুন সীমাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। শাশুড়ি তাহমিনার গলা চেপে ধরে। দুজনের মার খেয়ে তাহমিনা এক সময় নিস্তেজ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর দুই জনে তাকে লাথি মারতে ও দবায়। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে দুইজন বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। আসে পাশের লোকজন প্রাথমিক চিকিৎসায় তার জ্ঞান ফেরায়। এরপর গ্রামের লোকজন তাকে উদ্ধার করে একটি বাড়িতে রেখে দেয়। তার সাথে ৫ বছরের মেয়ে কন্যা শিশু সিদ্রাতুল মুনতাহা রয়েছে।

তাহমিনা বেঁচে আছে ও কোথায় তা জেনে মা ও ছেলে আবার ওই বাড়িতে যায়। এরপর তারা শলা পরামর্শ করে তহ মিনাকে তাদের কাছে দিতে বলে।

স্থানীয় সেল্টারদাতা পরিবারের সদস্যরা মোবাইল ফোনে তাহমিনা খাতুন সীমারর পিতা তোমেজ উদ্দীনকে ফোন দিয়ে ঘটনা জানায়। তারা সীমার সাথেও তার বাবা মায়ের কথা বলায়। তহমিনার পিতা জেলার শার্সা উপজেলার নারায়ণ পুর গ্রামের তোমাজেদ।

তোমাজেদ জানান তার মেয়ে ও নাতি সিদ্রাতুল মুনতাহা পারিবারিক এমন নির্যাতনের শিকার হয়ে তাদের বাড়িতেই ছিল। সম্প্রতি ফোনে যোগাযোগ করে গোপনে ইয়াসিন্ বউ ও মেয়েকে নিয়ে যায়। এরপর মেয়ের ভালো চিন্তা করে তারা চুপ করে যায়।

নারায়ণপুর গ্রামবাসী জানান, বেশ কয়েক বার গ্রামের ও শহরের লোকজন নিয়ে জঙ্গলবাঁধাল গ্রামে শালিস হয়েছে। কিন্ত সুরাহা হয়নি। ২৮ এপ্রিল সকাল ১০ টায় মারে। স্বামী ইয়াসিন মা জোহরা। লাথি লাঠি, কিল ঘুসি। গলা টিপে ধরে। পরে নিস্তেজ হয়ে গেলে মৃত ভেবে স্বামী ও শাশুড়ি বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট