1. info@www.jayjaysomay.com : দৈনিক যায়যায় সময় :
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বিশ্বের সবচেয়ে দামি পোশাক পরিবর্তন, হিজরী নববর্ষের কাবার কিসওয়ায় নতুন রূপে ময়মনসিংহের পর্নোগ্রাফি মামলায় ঝালকাঠির যুবক গ্রেফতার বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস পালিত লক্ষ্মীপুর সদরে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালিত  জয়পুরহাট কালাইয়ে বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফার শো-ডাউন এইচএসসি পরিক্ষার শুরুতেই কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ, ১০ শিক্ষক অব্যাহতি ৩ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার ইচ্ছেমতো সময়ে আসেন শিক্ষক, দপ্তরীর ব্যস্ততা বাড়ির কাজে ধামইরহাট পৌরসভা পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপন্নতা যাচাই কর্মশালা নিয়ামতপুরে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৩৮ পরীক্ষার্থী

শিশু ধর্ষণের মূল্য দেড় লাখ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ষনের মতো অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে ধর্ষকরা।অধিকাংশ ঘটনাই ধামাচাপা পরে যাচ্ছে কোন না কোন কারনে।কারনগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে,স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের হস্তক্ষেপ,ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায়,রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ,ভুক্তভোগীর দারিদ্রতা সহ নানান কারন।তাই আবারো শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিন্ত স্থানীয়রা অর্থের বিনিময়ে তা ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছে। তার মানে ধর্ষণ করলে কোন সমস্যা নেই,যদি ক্ষমতা ও টাকা থাকে।

‎এই ধরনের ন্যাক্যারজনক ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া এলাকায়।ভুক্তভোগী শিশু ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।তার বয়স কেবল মাত্র ১০ বছর।শিশুটি কেবলই দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়েন।এরই মধ্যে ওই শিশুর উপর নজর পড়েছিল ওই এলাকার নওসের মিয়ার ছেলে ফিরোজ মিয়ার (৪৫)।ফিরুজ মিয়া পেশায় একজন সিএনজি চালক।ধর্ষণ করার পর থেকেই সে এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘুরাফেরা করছে।সে মনেই করছেনা ধর্ষণ একটি মারাত্মক অপরাধ।

‎স্থানীয় ও ভুক্তভোগী ওই শিশুর মা জানান,ঘটনাটি ঘটেছে আজ থেকে প্রায় ২০-২২ দিন আগে।ঘটনাটি সত্য।ঘটনাটি ঘটার পর এলাকায় জানাজানি হওয়ার আগেই স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।পরে স্থানীয় মাতাব্বররা ঘরোয়াভাবে বসে বিচার করেন।বিচারে রায় হয় দেড় লাখ টাকা ও কয়টা জুতার বাড়ি।শিশুটির মা জানান,দেড় লাখ টাকা জরিমানা করলেও আমি পেয়েছি মাত্র ৯২ হাজার টাকা।বাকী টাকা নাকি পরে দিবে বলেছে তারা।স্থানীয় সচেতনমহলের ব্যাক্তিরা জানান,ধর্ষণ করার পর তার শাস্তি দেড় লাখ টাকা হতে পারে না,এটা অন্যায়,তাও আবার বাকী।বিষয়টা হাস্যকর,হলেও সত্য।

‎স্থানীয়রা জানান,ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সহযোগিতা করেছেন ও ধর্ষণের বিচার করেছেন ভুক্তভোগী শিশুটির প্রতিবেশী নুর ইসলাম,বিএনপির নামধারী নেতা ইউনুস আলী,আলম হোসেন,খোরশেদ আলম,আব্দুল মালেক মিয়া সহ প্রমূখ।

‎বিএনপির এক নামধারী নেতা বলেন,এটা এত বড় কোন বিষয় না যে এত বাড়াবাড়ি করতে হবে।তাই আপনারাও (সাংবাদিক) এটা নিয়ে আর বেশি বাড়াবাড়ি কইরেননা।

‎ভুক্তভোগী ওই শিশুটির মা আরো জানান,আমার স্বামী প্রবাসে থাকায় আমি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছি।স্থানীয়রা বিষয়টি সুষ্ঠু একটি মীমাংসা করে দেবেন এমন আশ্বাসের কারনে কোথাও অভিযোগ করিনি।ঘটনার দীর্ঘদিন পর বিচার করে অভিযুক্ত ওই ব্যাক্তিকে জুতার বাড়ি ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেন।পরে আমাকে মাত্র ৯২ হাজার টাকা দেয় এবং বাকী টাকা পরে দেবে বলে আশ্বস্ত করেন।

‎স্থানীয়রা আরো বলেন,অভিযুক্ত ধর্ষক সহ যারা তাকে বাচানোর জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। এইজন্য উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

‎স্থানীয় ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেন জানান,ঘটনাটি আমি পরস্পর শুনেছি।পরে শুনলাম ওরা নিজেরাই আপোষ মীমাংসা করেছে।

‎মির্জাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন বলেন,এ বিষয়ে আমার জানা নেই।অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট