1. info@www.jayjaysomay.com : দৈনিক যায়যায় সময় :
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ০৯:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বিশ্বের সবচেয়ে দামি পোশাক পরিবর্তন, হিজরী নববর্ষের কাবার কিসওয়ায় নতুন রূপে ময়মনসিংহের পর্নোগ্রাফি মামলায় ঝালকাঠির যুবক গ্রেফতার বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস পালিত লক্ষ্মীপুর সদরে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালিত  জয়পুরহাট কালাইয়ে বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফার শো-ডাউন এইচএসসি পরিক্ষার শুরুতেই কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ, ১০ শিক্ষক অব্যাহতি ৩ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার ইচ্ছেমতো সময়ে আসেন শিক্ষক, দপ্তরীর ব্যস্ততা বাড়ির কাজে ধামইরহাট পৌরসভা পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপন্নতা যাচাই কর্মশালা নিয়ামতপুরে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৩৮ পরীক্ষার্থী

নান্দাইলে ধার-দেনা করে আড়াই লাখ টাকায় হাতে পেলেন ভূয়া নিয়োগপত্র

নান্দাইল(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:-
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের নান্দাইলে চাকরির জন্য ধার-দেনা করে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে অবশেষে হাতে পেলেন গ্রাম পুলিশের ভূয়া নিয়োগ পত্র। নিয়োগপত্রটি যাছাই-বাছাই করে ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় মাথা যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো চাকুরি প্রত্যাশী যুবক আরিফুলের মা নাজমা আক্তার।

এদিকে ভূয়া নিযোগপত্র হাতে ধরিয়ে কাজে যোগদানের কথা বলে আড়াই লাখ টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক আওয়ামীলীগের কর্মী শাহআলম ওরফে হিরো আলম। জানাগেছে, প্রতারণার শিকার হওয়া যুবক আরিফুল ইসলাম উপজেলার ৪নং চন্ডিপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাশহাটি গ্রামের দিনমজুর শহিদ উল্লাহ ও মাতা নাজমা আক্তারের পুত্র। আরিফুল ইসলাম পড়াশুনায় ৫ম শ্রেণি পাস করেছে।

হঠাৎই আরিফুলের মা নাজমা আক্তারের সাথে পরিচয় হয় উপজেলার আচারগাঁও জলসিড়ি বাসষ্ট্যান্ডের কাছে বসবাসকারী আওয়ামী লীগ কর্মী শাহ-আলমের (হিরো আলম)। শাহ-আলম নিজেকে নান্দাইলের আওয়ামীলীগের সাবেক এক সংসদ সদস্যের কাছের মানুষ হিসাবে পরিচয় দিত। নাজমাকে বোন বানিয়ে আরিফুলকে চন্ডীপাশা ইউপির মহল্লাদার পদে চাকরী পাইয়ে দেবার কথা বলে ৩ লাখ টাকা চায় শাহ আলম।

এমপির কাছের লোক হওয়ায় আড়াইলাখ টাকা দিতে রাজি হয়ে যায় নাজমা। প্রথম দিন শাহ-আলমকে ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরপর গত রোজার মাসে দেন বাকি দেড় লাখ টাকা। টাকা নেবার পর শাহ আলম গত বছরের ৬ মার্চ মহল্লাদার পদে যোগদানের জন্য একটি নিয়োগ পত্র দেন। নিয়োগপত্রের নিচে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক হিসাবে স্বাক্ষর রয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানের এবং স্থানীয় সরকার শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলী সর্ম্পকিত বিধিমালা ২০১৫ মোতাবেক ৪নং চন্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের মহল্লাদার পদে তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

তবে আরিফুল চাকরীর জন্য টাকা দিলেও কোন আবেদন করেননি বা সাক্ষাতকারও দেননি। শুধু তাই নয় গত বছরের ১০ মে তাকে যাবতীয় কাগজপত্রসহ স্বশরীরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। পরবর্তীতে সেখানে গেলে নিয়োগপত্র ভূয়া বলে প্রমানিত হয়। রোববার দুপুরে আরিফুলের বাড়িতে গেলে তার মা নাজমা আক্তার বলেন, শাহ আলম চাকরি দেবার কথা বলে কিড়া-কসম খেয়ে আড়াই লাখ টাকা নেয়। আমি ধার দেনা করে ও সুদে টাকা এনে টাকা দিয়েছে।সে টাকার কিস্তি এখন আমাকে দিতে হচ্ছে।

এখন মোবাইল করলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই। পিতা শহীদ উল্লাহ জানান,শাহ আলম তার স্ত্রীকে বোন ডেকে এত বড় সর্বনাশ কিভাবে করল। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার বলেন, নিয়োগে জেলা প্রশাসকের যে স্বাক্ষর রয়েছে, তখন তিনি ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন না। তাই মনে হয় যে, ওই যুবক প্রতারণার শিকার।তবে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট