1. info@www.jayjaysomay.com : দৈনিক যায়যায় সময় :
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
ধামইরহাটে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশকে সফল করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা সাভারে সরকারি গবাদিপশু খাদ্য তৈরির কারখানায় ডাকাতি  কাশিমপুরে মার্ক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা শ্রমিকদের বিক্ষোভ বাকেরগঞ্জে চাঁদার দাবিতে গৃহবধুর উপর হামলা পাঁচ শতাধিক মুরগি লুট চাঁদপুরে পুলিশ কর্মকর্তার বাসা থেকে গুলি-পিস্তল উধাও চুরি যাওয়া গরু ফিরিয়ে দিতে এসআইয়ের ৫০ হাজার টাকা দাবি সাপের কামড়ে ছাত্রী সহ ২ জনের মৃত্যু বোয়ালমারীতে ফসলি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধামইরহাটে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পেরে আত্মহত্যা করলো প্রেমিক   নিয়ামতপুরে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান

ফরিদপুরে ৭০০ বছরের ঐতিহাসিক সতৈর শাহী জামে মসজিদ 

বোয়ালমারী(ফরিদপুর) প্রতিনিধি:-
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর গ্রামে ৭০০ থেকে ৮০০ বছরের পুরানো ঐতিহাসিক সাতৈর শাহী জামে মসজিদ, প্রায় ৭০০ বছর পূর্বে এই গ্রামে বহু আউলিয়ার বসবাস ছিল। অনেকেই মনে করেন সেই সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। এই মসজিদটি এলাকার মানুষের কাছে গায়েবী মসজিদ হিসেবে পরিচিত।

মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলা-উদ্দিন হুসাইন শাহ (১৪৯৪-১৫১৯) ছিলেন একজন স্বাধীন বাংলার সুলতান। তখন এই সাতৈর গ্রামে বহু আওলিয়ার বসবাস ছিলেন।

তাদের মধ্যে হযরত শাহ সুফী শায়েখ শাহ ছতুরী এর মুরিদ ছিলেন আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি সেই সময়ে নির্মিত হয়। সাতৈর শাহী মসজিদের পাশ ঘেঁষেই গেছে ঐতিহাসিক গ্রান্ড ট্রাংক রোড বা শের শাহ সড়ক। কেউ কেউ মনে করেন সাতৈর শাহী জামে মসজিদ টি শের শাহের (১৪৮৬ – ২২শে মে, ১৫৪৫) আমলের কীর্তি।

ধারণা করা হয় যে, আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্‌ তার জনৈক পীরের সম্মানে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে মসজিদটি সম্পূর্ণভাবে পরিত্যক্ত হয়ে জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায়। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে আবিষ্কৃত হওয়ার পর মসজিদটির ব্যাপক সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে।

সে সময়ের বাংলার নবাবদের পূরাকৃতি হিসেবে ৯টি গম্বুজ বিশিষ্ট, সাতৈর শাহী জামে মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে।
মসজিদ দৈর্ঘ ৬২ ফুট, উচ্চতা ৬২ ফুট, বর্তমান সমতল ভূমি থেকে প্রায় ৩০ ফুট ওয়াল,গাঁথুনি প্রায় সাড়ে ৫ ফুট, মাটির নিচেয় অদৃশ্য অবস্থায় আছে প্রায় ১০ ফুট।

বাস্তব সত্য হলো মসজিদটিতে লোহা বা কাঠের কোন বর্গা নেই, সম্পূর্ণ শূন্যের উপর ছাদ ও গুম্বুজ ৯টি এখনো অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে এই মসজিদটির নাম লোকমুখে গায়েবি মসজিদ হিসেবেই বেশি পরিচিতি। অনেক দূর দূরান্ত থেকে এই মসজিদ দেখার প্রতিদিনই কম বেশি মানুষের ভিড় দেখা যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট