ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সভাপতি শাওন বেপারী এবং সহ সভাপতি নাজমুল ইসলাম রাব্বির উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আহতদের মামা আব্দুর রহমনা সুক্কুর। মামলায় অজ্ঞাত নামা আসামি রয়েছেন আরো ৩০ জন।

১০ জন আসামীর মধ্যে ৪ নং আসামী পলাশ খানের বাড়ি হলো ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে মমহিষকান্দি গ্রাম, ১০ নং আমামী নাসরুল্লাহ বাবুর বাড়িও ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে নেয়ামতপুর গ্রাম। এত দূর থেকে এসে এই ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানান এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

আসামিদের স্বজনরা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনাকে হত্যার চেষ্টা মামলা সাজিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেছেন মামলার বাদী সুক্কুর।

স্থানীয়রা জানান, ২ নভেম্বর রোজ শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের জোড় খালি গ্রামের নাজমুল হোসেন রাব্বি ও শাওন বেপারী নামে ২ যুবক ২৩ নং জোর খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমনে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে আহত হয়। এই ঘটনায় রাব্বি ও শাওনের মামা শুক্কুর বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি দিয়ে কাঠালিয়া থানায় হত্যার চেষ্টা মামলা করেন। শুক্কুরের দাবি আসামিরা আহতদের উপরে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেছে।

মামলার বাদী সুক্কুর জানান, আমার ভাগিনাকে হত্যার উদ্দ্যেশে মারধর করার ঘটনায় আমি মামলা করেছি, দোষীদের সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে কাঠালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মংচেনলা জনান, পাটিখালঘাটার হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে, তদন্তকরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।