বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির আসন্ন কাউন্সিল ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা। দীর্ঘদিন পর কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের খবরে সাধারন সম্পাদক পদে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সৈয়দ নূরউদ্দিন। তিনি উপজেলা সেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সহ-সাধারন সম্পাদক, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য, সদ্য বিলুপ্ত কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান যুগ্ন-আহবায়ক।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, সৈয়দ নুরউদ্দিন রাজপথের একজন পরীক্ষিত কর্মী ও ত্যাগী নেতা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামোকে নতুনভাবে গতিশীল ও শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে তার বিকল্প নেই। তিনি তার ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। কর্মজীবনের পাশাপাশিও এখনো তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।

এছাড়াও তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য অবদান করেছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও তার ভূমিকা অপরিসীম।
তার রাজনৈতিক জীবন শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মেধা, সাহসিকতা ও নিঃস্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা ত্যাগী ও পরিক্ষীত সৈয়দ নূরউদ্দিনকে কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক হিসেবে পেতে চায়। তাদের মতে, সাংগঠনিক দক্ষতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং জনসম্পৃক্ততা—এই তিনটি গুণের সমন্বয়ে তিনি এই পদের জন্য উপযুক্ত।

উপজেলা বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা বলেন, “দলের দুঃসময়ে যারা রাজপথে ছিল, তাদেরকেই নেতৃত্বে আনতে হবে। সৈয়দ নূরউদ্দিন তেমনই একজন যোগ্য ও সাহসী নেতা।”

সাধারন সম্পাদক প্রার্থী সৈয়দ নুরউদ্দিন নিজের অবস্থান তুলে বলেন, “প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের আদর্শ ও নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি রাজপথে সংগ্রাম করে যাচ্ছি। সংগঠনকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে আমি বদ্ধপরিকর।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদ ও একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ইউনিয়ন বিএনপিকে গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত করতে চাই। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই দায়িত্ব আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমি বিশ্বাস করি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিজয়ী হবো।