ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার ৬৮ নং পূর্ব ছিটকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২৫ জন ছাত্রছাত্রী উপবৃত্তি পাইনি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর অভিযোগ প্রধান শিক্ষক বাবুলের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ করেছেন অর্থ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী, এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে, সহকারী শিক্ষক দের সাথে বৈষম্য তৈরি করা, আওয়ামী লীগের দোসর হিসাবে পূর্ণবাসন করা ঐ বিদ্যালয়ের সিলিবের টাকা, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্থারেকের টাকা একক ক্ষমতায় বলে আত্মসাৎ করে প্রধান শিক্ষক, সময় মতন বিদ্যালয় উপস্থিত হয়না, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও ওই বিদ্যালয়ে এখনো তার নাম আগলে রেখেছে প্রধান শিক্ষক বাবুল, এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জুয়েল বলেন – প্রধান শিক্ষক ঠিকমতো ক্লাসে আসে না, শেখ হাসিনার নাম মুছতে বললে সে কোন কিছু তোয়াক্কা করে না, বিদ্যালয় কোন অনুষ্ঠান বা মিটিং হলে বিএনপি’র সভাপতিকে দাওয়াত দেয় না, এবং আমাদের কে না জানিয়ে নিজের মনগড়াভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে, বিদ্যালয়ের সরকারি প্রধান শিক্ষক বলেন, সময় মতন সে আসে না বিদ্যালয়ে, স্কুলের বিভিন্ন কাজের কথা বলে স্কুল ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে, আমরা জিজ্ঞেস করলে স্যার কোথায় গিয়েছিলেন তখন সে বলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জাকির স্যারের কাছে গেছিলাম, বিদ্যালয়ের ২২৫ জন ছাত্রছাত্রী উপবৃত্তির বিষয় জানতে চাইলে বলেন এটি সম্পূর্ণ প্রধান শিক্ষক বাবুল স্যারের কাজ তার অধীনস্থ আমরা বলে এড়িয়ে যান,
এ অভিযোগের বিষয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, গতকালকে অফিসের কাজে আসছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছবি লেখা স্কুলে আগলে রাখা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মাসিক মিটিং আমরা বলে দিয়েছি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছবি লেখা কোথাও থাকতে পারবেনা যদি থাকে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব তদন্ত সাপেক্ষে, উপবৃত্তির বিষয় জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন গত অর্থ বছরের বিষয় তখন আমি দায়িত্বে ছিলাম না।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দোসর হিসাবে ব্যাপক প্রভাব খাটিয়েছে, এবং সাবেক সহকারি শিক্ষা অফিসার কে মারধর করে- বাবুল- এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে ঐ সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা। আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ গফুর মাওলানা জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগের দোসর, এখনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছবি লেখা এখনো আগলে রেখেছে – উপবৃত্তি না পাওয়ার কারণ হচ্ছে প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা, এবং বিদ্যালয় হচ্ছে কাঠালিয়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন,বাবুলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগের কথা শুনেছি তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, এক চুল পরিমান ও ছাড় দেওয়া হবে না। এই অভিযোগের বিষয়ে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুলের মুঠো ফোনে ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।