টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে লৌহজং নদীর কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণের বাঁধা কেটে গেল। সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ১০টায় কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এলাকাবাসীর বৈঠকের মাধ্যমে এই বাঁধা দূর হয়ে গেছে বলে জানা যায়।
মির্জাপুর গ্রামে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে রুদ্র প্রসাদ সাহা, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের জিএম রনজিৎ সাহা, কুমুদিনী সিভিল কনস্ট্রাকশনের জিএম স্বপন পোদ্দার, কুমুদিনী হাসপাতালের ডিজিএম (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন। মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা খুলনা ডেন্টাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. অনুপম পোদ্দার, সরকারি কুমুদিনী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক বিশ্বজিৎ সাহা, চিত্রশিল্পী হুমায়ুন কবীর, ডা. বিপ্লব কুমার সাহা, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার আব্দুল সাত্তার, সাবেক পৌর কাউন্সিলর তাপস সাহা সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে রাজীব প্রসাদ সাহা এলাকাবাসীর কাছ থেকে এই খেয়াঘাটের দুর্ভোগ ও সেতু নির্মাণের দাবী সম্পর্কে জানেন এবং এখানে যাতে পারপারের জন্য একটি নিরাপদ পায়েহাঁটার সেতু নির্মিত হয় এ বিষয়ে তিনি এলাকার বাসীর সাথে একমত পোষণ করেন। এতে কুমুদিনী কর্তৃপক্ষের আপত্তি নেই বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।
এদিকে কুমুদিনী খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণের বিষয়ে কুমুদিনী কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীর সাথে একমত হওয়ায় খেয়াঘাটের দক্ষিণপাড়ে শত শত লোক মিষ্টি বিতরণ ও বাজি ফুটিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানায়, আমরা ভেবেছিলাম খেয়াঘাটটিতে সেতু নির্মাণে কুমুদিনী কর্তৃপক্ষের আপত্তি থাকতে পারে। কিন্তু কুমুদিনী কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবীর সাথে একমত পোষণ করেছে। এখন এই ঘাটে সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন বাধা রইল না।