টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আদালতের নির্দেশে তিন মাস সাত দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের ভাতগ্রাম আউটপাড়া গ্রামে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।
ঘটনার তথ্য বিবরণী থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি জমি সংক্রান্ত বিরোধে আউটপাড়া গ্রামে ভাতিজাদের পিটুনি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চাচা সুরুজ আলী সহ (৫৫) ৫জন আহত হয়।
এই ঘটনায় সুরুজ আলী বাদী হয়ে দুই ভাতিজা বিপ্লব ও জয় তাদের মা বিউটি বেগম, দেলোয়ার ও দিপু সহ আরো কয়েকজনকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। গুরুতর আহত সুরুজ আলীকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ৬ এপ্রিল তিনি মারা যান।
মামলার বাদী আহত সুরুজ আলী মারা যাওয়ার বিষয়টি তাঁর স্ত্রী হেলেনা বেগম আদালতকে অবহিত করে হত্যা মামলার আবেদন করেন। আদালতের বিচারক অধিকতর তদন্তপূর্বক ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত দেয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে রোববার দুপুরে কবর থেকে সুরুজ আলীর লাশ উত্তোলন করা হয়।
মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে সুুরুজ আলীর লাশ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রুবায়েত আনোয়ার, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুর হাসান উপস্থিত ছিলেন।
লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।