ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারী ব্যবসায়ী মােঃ সোহাগকে পৈশাচিকভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং দেশব্যাপী চাঁদাবাজি, সহিংসতা ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে রৌমারী উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২/৭/২০২৫ইং শনিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে দিগে রৌমারী বাজার জামে মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে থানা চত্বর, রৌমারী কাঁচা বাজার ও হাসপাতাল গেট প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক কর্মী, মানবাধিকারকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জনাব মােঃ মিজানুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র নেতা মােঃ সাজেদুল ইসলাম এবং রৌমারী জেনারেল হাসপাতালের কর্ণধার মোঃ মাহবুবুল আলম।
জনাব মােঃ মিজানুর রহমান বলেন, আজ দেশজুড়ে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চলছে, তারই নির্মম শিকার হলেন মিটফোর্ডের ভাঙারী ব্যবসায়ী মােঃ সোহাগ। খুনিরা শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং মরদেহের ওপর লাফিয়ে পৈশাচিক উল্লাস করেছে। এটা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও দ্রুত বিচার দাবি করছি।”
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র নেতা মােঃ সাজেদুল ইসলাম বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি বৈঠার ভয়াবহ স্মৃতি আজ আবার ফিরে এসেছে। ২৪ জুলাইয়ের গণআন্দোলনে ফ্যাসিস্ট শাসক হাসিনাকে ছাত্র-জনতা যেভাবে রুখে দিয়েছিল, আজও যদি কেউ সেই রক্তাক্ত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটায়, তবে তাকেও ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলা হবে। আমরা হুঁশিয়ার করছি—এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দীর্ঘায়িত হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
রৌমারী জেনারেল হাসপাতালের কর্ণধার মোঃ মাহবুবুল আলম বলেন, “সোহাগ ভাইকে যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা শুধু একটি মানুষকে হত্যা নয়—এটি গোটা মানবতাকেই কলঙ্কিত করেছে। ২০০৬ সালের মতো আজও একই কায়দায় পৈশাচিক উল্লাস করা হয়েছে