দাখিল পরীক্ষায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে দেশসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এনএস কামিল মাদ্রাসা।
মাদ্রাসা থেকে এবছর মোট ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এবং ২৭৭ জন ‘জিপিএ-৫’ অর্জন করে। পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৯৯.৭৭ শতাংশ, যা দেশের অন্যান্য শীর্ষ মাদ্রাসাকে পেছনে ফেলে এনএস কামিল মাদ্রাসাকে শীর্ষে স্থান দিয়েছে।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী শহিদুল ইসলাম জানান, এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ হযরত আযীযুর রহমান কায়েদ (রহ.)। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষা ও চরিত্র গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এবারের দাখিল পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফলের মাধ্যমে সেটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জিপিএ-৫ অর্জনের হার শতকরা ৫৪ ভাগ, যা দেশের অন্যান্য স্বনামধন্য মাদ্রাসার চেয়ে অনেক বেশি। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকার দারুন্নাজাত আলিয়া মাদ্রাসার পাসের হার ছিল ৯৬%, আর তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে পাস করেছে ৯৭% শিক্ষার্থী।
এদিকে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষাতেও ঝালকাঠির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো ফল করেছে।
সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২২২ জন অংশ নিয়ে ২১২ জন পাস করেছে। এদের মধ্যে ৫৪ জন পেয়েছে জিপিএ-৫।
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২১৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২১২ জন পাস করেছে, যেখানে ৫৮ জন পেয়েছে জিপিএ-৫।
মাদ্রাসা পর্যায়ের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ফলাফল: ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা: ৩৮ জন অংশ নিয়ে ৩২ জন পাস, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।
কুতুবনগর আলিম মাদ্রাসা: ৩৮ জন অংশ নিয়ে ৩৪ জন পাস, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।
উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ১২৪ জন অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৮১ জন, জিপিএ-৫ অর্জন করতে পারেনি কেউ।
ঝালকাঠির শিক্ষার মান ও প্রতিষ্ঠানের সাফল্য এবারও প্রমাণ করেছে, এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের মানচিত্রে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখছে।