অভাগা যেদিকে চায় সিন্ধু শুকায়ে যায় ছোট্ট এই শিশুটির নাম হামিদা,বয়স মাত্র চার বছর।নানা বাড়ি নলছিটির কান্ডপাশা এলাকায়।মা জ্যোৎস্না বেগম এক সময় গার্মেন্টসে কাজ করেতেন,সে সময় নোয়াখালীর হারিস মিয়ার সাথে বিয়ে হয়।কিন্তু হারিস মিয়া রমজান (৭), রবিউল (০৬) ও এই হামিদাকে(৪) জন্ম দিয়েই লাপাত্তা হয়ে গেছে প্রায় চার বছর।হামিদা পেটে থাকতেই তার বাপ অন্যত্র বিয়ে করে পালিয়ে গেছে।
পেট চালাতে বাচ্চাটির মা জ্যোৎস্না বেগম আবার কাজে নামেন,মানুষের বাসায়ও কাজ করতেন বাচ্চাদের জন্য।সেখানের আয়ে তিনটি বাচ্চা নিয়ে চলা কঠিন হয়ে যাওয়ায় আবার গার্মেন্টসে কাজ শুরু করেন এই জুলাইয়ের এক তারিখ,দুর্ভাগ্যজনকভাবে দুইদিনের মাথায় সেই কোম্পানির গাড়ির চাকার নিচেই পিষ্ট হয় তার চার বছর বয়সী মেয়ে হামিদা।বাসা কাছে হওয়ায় মাকে খুজতে গার্মেন্টসের গেইটে গিয়েছিলো শিশুটি,তখনই পেছন থেকে একই প্রতিষ্ঠানের পন্যবাহী গাড়ি শিশুটিকে ধাক্কা দেয়।এতে তার পায়ের সাথে কোমরের জয়েন্ট ছুটে যায় এবং ইন্টারনাল মারাত্মক ইঞ্জুরি হয়,চাকার চাপে শিশুটির প্রসাবের থলি ফেটে গেছে।মাত্র ১৫০০ টাকা ধরিয়ে দিয়েই ড্রাইভার খালাস,যেহেতু চাকরির বয়স দুইদিন তাই মালিক পক্ষ দুই পয়সাও দেয়নি সাহায্য। বাপ খোজখবর নেয় না কয়েক বছর ধরে তার খেয়ে বাচাই দ্বায়,চিকিৎসাও বন্ধের পথে।
শিশুটি এখন ঢাকার জামগড়ার নারী ও শিশু হাসপাতালে আছে।জোস্নার নিজের বাপ বেচে নেই,নেই কোনো মায়ের পেটের ভাইও।সে হাসপাতালে ছোট মেয়েকে নিয়ে একাই লড়ছেন,আর পাশের বাসা থেকে মাঝে মাঝে খাবার নিয়ে ৫০ টাকা গাড়ি ভাড়ার পথ একারাই হাসপাতালে মা আর বোনের জন্য খাবার নিয়ে যাচ্ছে তার সাত বছর আর ছয় বছর বয়সী দুই শিশু সন্তান যেখান থেকে হারিয়ে যেতে পারে এই বাচ্চা দুটিও।কি এক মানবেতর যুদ্ধ যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
শিশুটি নিজের পেটে ভাতের জোগান দিতে মায়ের সাথে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলো ঢাকায়।সেখানে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখন হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে শিশুটি।নেই ভাতের পয়সা,চিকিৎসা চালাবার পয়সা আসবে কোথা থেকে!! তিন ভাইবোনের বড় জনের বয়স মাত্র সাত বছর।এর পরে আরও দুইজন!!
এই তিন বাচ্চাকে নিয়ে সেই নারী পরে গেছেন অকুল পাথারে।।বাচ্চাটির চিকিৎসার জন্য সকলের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তার মা।
যোগাযোগ: 01319-609703 মা জ্যোৎস্না বেগম,নগদ একাউন্ট সহ।