রায়পুর উপজেলার ২ নম্বর চরবংশী ইউনিয়নের মেঘনা বাজার এলাকায় পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার হয়েছে মাদকাসক্ত সেই কুলাঙ্গার সন্তান মামুন (৩৫)। নিহত পিতা হযরত আলী গাজী (৭৫) ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ ও শান্তিপ্রিয় মানুষ।
গত ১১ জুন রাতে মাদকের জন্য টাকা না পেয়ে নিজ পিতাকে পেছন থেকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে মামুন। ঘটনার সময় হযরত আলী গাজী ওজু করছিলেন। এ সময় পিছন দিক থেকে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে তাঁকে গুরুতর জখম করে মামুন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর নিহতের বড় ছেলে নুর হোসেন গাজী বাদী হয়ে রায়পুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই মামুন পলাতক ছিল।
অবশেষে ঘটনার ১৯ দিন পর ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১ এর সদস্যরা। আজ ৩০ জুন (রবিবার) দুপুরে র্যাব-১১, নোয়াখালী ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাবের কর্মকর্তারা।
র্যাব জানায়, মামুন দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। নেশার টাকা না পেয়ে প্রায়ই পরিবারের সদস্যদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। শেষমেশ মাদকাসক্তি তাকে পরিণত করেছে পাষণ্ড হত্যাকারে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, সমাজে মাদকের ভয়াবহতা ও এর বিরূপ প্রভাব নিয়ে। এটি প্রমাণ করে যে মাদক শুধু একজন ব্যক্তিকে নয়, গোটা পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে দেয়।
এ ধরনের জঘন্য অপরাধ যেন আর কোনো পরিবারে না ঘটে, সে জন্য প্রয়োজন সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা এবং প্রশাসনের আরও কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ।