জয়পুরহাটের কালাইয়ে শ্যালকের ছুরির আঘাতে দুলাভাই সহিফুল ইসলাম (৫৫) নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টার দিকে কালাই উপজেলার পাঁচপাইকা সরকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সহিফুল ইসলাম বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের আপশন গ্রামের মৃত আবুল কাসেম আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা সুত্রে জানা গেছে কালাই উপজেলার পাইকপাড়া-সরকারপাড়া গ্রামে সকালে শ্যালক জুয়েল হোসেনের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্যালক জুয়েলের (৪০) সাথে দুলাভাই সহিফুল ইসলামের (৫৫) কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শ্যালক জুয়েল উত্তেজিত হয়ে তাঁর ভগ্নিপতি শরীলের বাম হাতের বগলের নিচে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে রক্তাক্ত ও জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হোন দুলাভাই সহিফুল।
তবে হত্যাকারী জুয়েলের পরিবারের দাবি, জুয়েল মানসিক রোগী। তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য দুলাভাই সহিফুল ইসলাম তার নিজ বাড়ি থেকে শশুর বাড়িতে আসেন। সেখানে এসে তার শ্যালক জুয়েলকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে সে উত্তোজিত হয়। পরে এক পর্য়ায়ে জুয়েল ছুরিকাঘাতে তার দুলাভাইকে হত্যা করে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাহিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। হত্যাকারি ঘাতক জুয়েলকে উত্তোজিত জনতা তাকে মারধর করে। বর্তমানে তিনি কালাই সরকারি হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।