1. info@www.jayjaysomay.com : দৈনিক যায়যায় সময় :
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন

বাকেরগঞ্জে ডেভিল হান্টে আটক করায় এস আই এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র 

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

বরিশালের বাকেরগঞ্জে ডেভিল হান্ট কে আটক করায় এক এস আই এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যে অপপ্রচার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সূত্রে জানা যায় উপজেলার ১৪ নং নিয়ামতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা পিতা পার্শ্ব নাথ সাহা গত আওয়ামী লীগের আমলে এলাকায় নিরীহ অসহায় লোকজনকে ব্যাপক জুলুম ও নির্যাতন করিয়াছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ রহিয়াছে।যাহার ফলে নিয়ামতি ইউনিয়নের খাস মহেশপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।সেই মামলার সে ১ নাং আসামী। স্থানীয় জনতার সহযোগীতায় বাকেরগঞ্জ থানার এস আই আলমগীর হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেন।

ইহাতে নিয়ামতি ইউনিয়ন তথা বাকেরগঞ্জ থানা এলাকার সাধারণ জনগণ খুবই উল্লাসিত। তাকে আটক করায় স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা নাসিমা বেগম নামে এক নারীকে ব্যবহার করে মিথ্যা বানোয়াট ষড়যন্ত্রমূলক অপঃপ্রচার চালাচ্ছেন । এমনকি বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার বরাবর মিথ্যা বানোয়াট কাল্পনিক অভিযোগ করেছেন। বাকেরগঞ্জ থানার এসআই আলমগীর হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান গত ০১/০৬/২০১৫ তারিখ রাত অনুমান ০৭:০০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন বাংলাবাজার সংলগ্ন মোশারেফ হোসেন এর বাড়িতে একটি পরিত্যক্ত ঘরে কতিপয় মাদকসেবিরা মাদক সেবন করে এবং মোশারেফ হোসেন বেপারী ও তার স্ত্রী নাসিমা মাদক বিক্রি করে। উক্ত সংবাদ পাইয়া বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ বাকেরগঞ্জ থানা কে অবহিত করেন।অফিসার ইনচার্জ সাহেবের নির্দেশক্রমে এস আই আলমগীর হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স ও নিয়ামতি ইউনিয়নের ডিউটিরত এ এস আই সজল সহ বাংলাবাজারে অবস্থান করেন।

ঐদিন রাত্র আনুমানিক রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে এস আই সজল সহ পুলিশের পোশাক পরিহিত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বাসার সামনে উপস্থিত হইয়া মোশারেফকে দরজা খোলার অনুরোধ করেন,এবং তারা বাকেরগঞ্জ থানা থেকে এসেছে পুলিশের লোক বলে জানান।

তখন মোশারেফ দরজা খুলে দিলে এস আই আলমগীর সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘরে ওঠেন তাহার বাসা মাদক সন্দেহে তল্লাশি করতে চাইলে ,মোশারেফ এবং তাহার স্ত্রী নাসিমা বেগম ডাক চিতকার শুরু করেন পুলিশকে দা বটি নিয়ে তেরে আসেন।আত্মরক্ষার্থে পুলিশ মোশাররফ কে ধরে ফেলেন, তাৎক্ষনিকভাবে বাংলাবাজারে অবস্থানরত নিয়ামতি ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল মাস্টার ও হাবীব মাস্টার তাহার বাবা আলহাজ্ব রুস্তুম মিয়া সাবেক সভাপতি বাংলাবাজার বণিক সমিতি, ফারুক হোসেন সহ একাধিক ব্যক্তির সম্মুখে বাসা তল্লাশি করেন।এ সময় নাসিমা বেগম বেশ কয়েকবার বাসার বাহিরে আসা যাওয়া করেন।এবং ডাক চিতকার করিয়া উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির করে তল্লাশিতে বাধা সৃষ্টি করেন।তার বাসা তল্লাশি করিয়া গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিততে কোনোকিছু না পেয়ে মোশাররফকে তার বাসায় রেখে এস আই আলমগীর রাস্তায় চলে আসে।

বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কে রাস্তায় পেয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আতাকে ঘটনাটি অবহিত করেন এবং তিনি নিয়ামতি বাজারের দিকে চলে যান। এস আই আলমগীর জানান তাহার বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় মাদক দিয়ে ফাসানোর চেষ্টা যে তথ্য প্রদান করিয়াছে তাহা আদৌ সত্য নয় এবং মিথ্যা বানোয়াট।

এ বিষয়ে স্থানীয় আব্দুল জলিল মাস্টার হাবিবুর রহমান মাস্টার ফারুক হোসেন আলহাজ্ব রুস্তুম মিয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানান ঐদিন তাহাদের উপস্থিতিতে মোশারেফ নাসিমার ঘর তল্লাশি করে সেখানে কিছু না পেয়ে তাদেরকে বাড়িতে রেখে চলে আসে এবং আরো জানান যে ঐ মহিলা নাসিমা খুব দুরান্ত। তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে থাকে কোনো কাজকর্ম করে না এবং তার স্ত্রী ও কোনো কাজকর্ম করে না। কিন্তু তারা উন্নতমানের জীবন যাপন করেন, তাদের দেখলে বোঝার উপায় নেই তারা কোন কাজকর্ম করে না। এমনকি এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির গুঞ্জন রয়েছে। নাসিমা বেগমের ঘরের সামনে পরিত্যক্ত একটি ঘর রয়েছে যেখানে প্রতিনিয়ত সকাল সন্ধ্যা মাদকের আক্রা বসে।

ঘটনার অনেকদিন পরে স্থানীয় ডেভিলরা বিষয়টি নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। এসআই আলমগীর হোসেন বিট অফিসার হিসেবে আসার পরে মাদক বিরোধী অভিযান শুরু করে এবং বিভিন্ন স্পটে হানা দেয়, এতে মাদক বিক্রেতাদের সমস্যা হয়।কিছুদিন পূর্বে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা কে আটক করার পরে ডেভিল হান্ট ও মাদক বিক্রেতারা এক হয়ে এসআই আলমগীর কে নিয়ামতি বীট থেকে সরানোর জন্য মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি নিয়ামতিতে মাদক সরবরাহ অনেকটাই কমেছেন।

মধ্যম মহেশপুরের প্রবাসী জলিল জোমাদ্দারের স্ত্রী মাহিনুর বেগম জানান ,দীর্ঘদিন যাবত কালাম চৌকিদার ও জাহাঙ্গীর দের সাথে জমি জমা নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসিছিল। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা জারি করা পরেও তারা জোরপূর্বক কাজ চালানোর চেষ্টা চালায়। বিরোধীরা আমার জমিতে ঘর তুলতে গেলে, আমি থানায অভিযোগ দিলে এসআই আলমগীর হোসেন সরজমিনে আসিয়া নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। সে আমার উপকার করেছে। তাহার বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। এমনকি বিরোধীপক্ষ রাত্রে ঘর উঠানোর কাজ শুরু করলে সে থানা থেকে এসে তাও বন্ধ করে দেয়। যারা তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করেছে । স্যার খুব ভালো মানুষ।

স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে যাওয়া যায় এই এস আইয়ের বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেনের কোন অভিযোগ নাই। নেয়ামতি ইউনিয়নের মাদক বিক্রেতাদেরও বিভিন্ন সময় ধাওয়া দেয় এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিবরণ চন্দ্র সাহা কে আটক করেন। এরপর থেকেই একটি মহল ওই বিট থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে তারই বহিঃপ্রকাশ এটি। এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান এসআই আলমগীর একজন চৌকস অফিসার তার বিরুদ্ধে এসপি মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগের কথা শুনেছি, তবে মোশারেফ হোসেন বেপারীর বাড়িতে তল্লাশির বিষয়টি আমাকে অবহিত করেই গিয়েছেন এসপি স্যার অনেক অভিজ্ঞ তিনি তার মত করেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট