বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
দেড় বছর ধরে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। শূন্যস্থানে অতিরিক্ত হিসেবে অন্য কর্মকর্তাকে সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি সপ্তাহে অফিস করেন দুদিন। এতে প্রশাসনিকসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে মোট পদের সংখ্যা ৫টি। গত বছরের মার্চে বদলি হন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার আযীম। এরপর এ পদে আর কাউকে পদায়ন করা হয়নি। শূন্যপদে প্রথমে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কাজ করেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। পরে নলছিটি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি সপ্তাহে দুদিন কাঁঠালিয়াতে অফিস করেন।এদিকে পদ থাকলেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে নেই সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা। এ পদেও এখন পর্যন্ত কাউকে পদায়ন করা হয়নি। এছাড়া কয়েক বছর আগে অফিস সহকারী পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র চলে যান। এ পদটিও খালি রয়েছে। বর্তমানে এ অফিসে রয়েছেন উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার, একজন পিয়ন ও নৈশপ্রহরী।
জানা যায়, উপজেলায় মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৭টি। মাধ্যমিক পর্যায়ের মাদরাসা রয়েছে ৩০টি ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ১টি। এ ছাড়া ৫টি কলেজ রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরান্তে বই বিতরণ, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা পরিচালনা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়ার কাজ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট নানাবিধ সমস্যা সমাধান দেওয়া হয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে। কিন্তু অফিস প্রধানসহ কয়কেটি পদ শূন্য থাকায় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
তবে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে বলে দাবি করেছেন সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত কাঠালিয়া উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার আমিনুল ইসলাম। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তদারকিতে কাঁঠালিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম নিয়মিত সমাধান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি আরো জানান।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, কাঁঠালিয়ায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ অন্য পদে লোকবল দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষকদের পদশূন্য রেখে যেমন ভাবে যথাযথ পাঠদান সম্ভব নয়, তেমনি তদারকি কর্মকর্তার পদ শূন্য রেখেও শিক্ষাকার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না।
