র্যাব-১৩ এবং র্যাব-১৪ এর যৌথ অভিযানে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার চাঞ্চল্যকর ‘বাদশা মিয়া হত্যা মামলা’ এর এজাহারনামীয় ০১ নং ও ০২ নং পলাতক আসামী গ্রেফতার।
বাংলাদেশ আমার অহংকার, এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে এলিট ফোর্সেস র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানিসহ মারাত্মক সব সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
বাদীর দায়েরকৃত এজাহারসূত্রে জানা যায় যে, চলাচলের রাস্তার জমি নিয়ে ঝগড়া-বিবাদের জের ধরে গত ইং ১৫জুন আনুমানিক ১২.১০ ঘটিকার সময় এজাহারে উল্লেখিত আসামীগণ মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে ভিকটিমের বাড়ীতে অনাধিকার প্রবেশ করে ভিকটিম বাদশা মিয়ার মাথায় লোহার ধারালো বাঁশিলা দিয়ে সজোরে কোপ মারলে তিনি গুরুতর হাড়কাটা রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম বাদশা মিয়া ইং ১৬জুন দুপুর আনুমানিক ০২.০০ ঘটিকার সময় মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনার পরের দিন ভিকটিম বাদশা মিয়ার ছেলে বাদী হয়ে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি উক্ত এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে তা র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারী ক্যাম্পের দৃষ্টিগোচর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ জুন রাত ০৮.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারী, এবং র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল এর যৌথ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর থানাধীন মাটিকাটা বালুরঘাট এলাকা হতে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী ১। মোঃ রুহুল আমিন (৩০), ২। রবিন ইসলাম (২৫), উভয় পিতা-মোঃ হাফিজ উদ্দিন, সাং- নাটোকটোকা (ডাকুয়াপাড়া), থানা-দেবীগঞ্জ, জেলা-পঞ্চগড়’দ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামীদ্বয়কে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
.