টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক গৃহবধূকে চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত (২৯ মে) ১১টার দিকে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম কবিতা বেগম (২৩)। তিনি নীলফামারীর খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের মাঝাডাঙ্গা শিংঙ্গিমাড়ি গ্রামের কদম আলীর মেয়ে। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কবিতা বেগম তার বোনের সঙ্গে মির্জাপুরের গোড়াই এলাকার মূসা মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি ও তার বোন হা’মীম গ্রুপের একটি কারখানায় সেলাই মেশিন অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন।
স্বামী সুজন পেশায় ইজিবাইক চালক। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
নিহতের বড় বোন কল্পনার অভিযোগ, সুজন প্রায় সময় কবিতার কাছ থেকে টাকা নিতে আসত এবং টাকা না পেলে তাকে মারধর করত। বৃহস্পতিবার রাতেও কবিতা অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পর স্বামী সুজন এসে ঝগড়া শুরু করে।
নিহতের সাত বছরের মেয়ে সুমাইয়ার ভাষ্য, আব্বু প্রথমে আম্মুকে রড দিয়ে মারে, আমাকেও একবার মারে। পরে চাকু দিয়ে আম্মুর পেটে, পিঠে ও বাহুতে আঘাত করে। আম্মু পানি চাইছিল, কিন্তু খেতে পারে নাই। এরপর গলায় চাকু চালায়।
ঘটনার পর ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে সুজন পালিয়ে যায় বলে দাবি পরিবারের।
মির্জাপুর থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রড ও ধারালো চাকু জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই একটি হত্যা মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।