কুড়িগ্রাম রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক ১৫ জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে পুশইন করার চেষ্টা ঘিরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার ভোর ৪ টা ১৫ মিনিটের দিকে ১০৬৭ নম্বর সীমান্ত পিলারের নোম্যান্সল্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএসএফ অবৈধভাবে ১৫ জনকে-যাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী-বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে বিজিবি সদস্যরা পুশইন ঠেকাতে বাধা দেন। এ সময় স্থানীয়দের দাবি, সকাল ৬টার দিকে বিএসএফ চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে, যা সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তবে বিজিবি গোলাগুলির বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুশইনকৃত ব্যক্তিরা সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে অবস্থান করছেন। তারা ভারতের মেঘালয় বা আসাম নয়, বরং বান্দরবান জেলার বাসিন্দা বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন, তবে তাদের প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন এবং স্থানীয়দের সহায়তায় সীমান্তে সতর্ক নজরদারি চলছে।
জামালপুর ব্যাটালিয়ন-৩৫ বিজিবির সহকারী পরিচালক ভারপ্রাপ্ত অ্যাডজুটেন্ট শামসুল হক জানান, বিএসএফ অবৈধভাবে পুশইনের চেষ্টা করলে আমাদের বিজিবি বাধা দেয়। পুশইন করা ব্যক্তিরা কোন দেশের নাগরিক তা জানা যায়নি, তারা দুই দেশের শূন্যরেখায় আছে। ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গেছে। কিন্তু কোনো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি।
বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হলেও বিএসএফ এখনও কোনো সাড়া দেয়নি বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল ৯টা) সীমান্তে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এদিকে কুড়িগ্রাম রৌমারী উপজেলা ২ নং শৌলমারী ইউনিয়নের চর বোয়ালমারী সীমান্তে আরো একটি মহিলাকে পুশইন করে ভারতীয় বিএসএফ। ওই মহিলাটি ভারতীয় নাগরিক। মোট ভারতীয় নাগরিক ১৫ জন।