টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর এলাকায় ১১ বছর বয়সি এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। স্কুলের বাথরুমে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
জানা গেছে , গত বুধবার (২১ মে) স্কুলের বাথরুমে যায় ঐ শিক্ষার্থী। এরপর বাথরুমের পাশে উৎপেতে থাকা স্থানীয় মিজানুর রহমান জোরপূর্বক ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন।
এ সময় মিজানের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। তারা পাহাড়াদার হিসাবে ওই জায়গায় ছিল। এরপর বিষয়টি তার পরিবারকে জানায় কিশোরী। পরে ভুক্তভোগীকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, আমি স্কুলে যাওয়ার পরে ম্যাডামের কাছে বলে বাথরুমে যাই।
এরপর বাথরুমে ঢুকার সঙ্গে সঙ্গে মিজান কোথায় থেকে এসে যেন আমাকে মুখ চেপে ধরে। এরপর আমাকে নির্যাতন চালায়। আমি মিজানুরের কঠিন বিচার দাবি করছি।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমার বাচ্চা মেয়ে যাদের দ্বারা নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে তাদের বিচার দাবি করছি। আমার মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে এখন চিন্তিত।
কিশোরীর বাবা বলেন, আমি হকরি করে সংসার চালাই। আমরা হিন্দু মানুষ এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। আমার মেয়ের সাথে যে নির্মম ঘটনা ঘটেছে অন্য কোনো মেয়ের সাথে যেন এই ঘটনা না ঘটে। আসামি মিজানুরের ফাঁসির দাবি করছি। আমি এখন হাসপাতালে নিয়ে এসেছি এরপর থানায় গিয়ে মামলা করব।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। যদি পাই তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।