নীলফামারীর এক পল্লীতে ফ্রি সিম নিয়ে শারমিন কানাডিয়ান ভিসা প্রতারণার আসামী হয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানি হওয়ায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই (মেম্বার পাড়া) এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়ে শারমিনের ফেসবুক একাউন্টে ফেনি জেলার সোনাগাজী উপজেলার চরগনেশ এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে ফখর উদ্দিন একটি কানাডিয়ান ভিসার বিজ্ঞাপন দেখে শারমিনের সাথে ফোনে পরিচয় হয়। কানাডিয়ান ভিসা দেয়ার কথা বলে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাইলে ফখর উদ্দিন প্রথমে নীলফামারী শহীদ মিনারে এসে শারমিনকে ৫০ হাজার টাকা ও বিকাশে ৪০ হাজার টাকা এবং পূবালী ব্যাংক এর একাউন্টের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা দিলেও ফখর উদ্দিন কানাডিয়ান ভিসা না পেলে শারমিনের বিরুদ্ধে নীলফামারী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ শারমিনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই (মেম্বার পাড়া) আসামী শারমিন এলাকায় জানা যায়, এই ঘটনার দুই তিন মাস আগে ২/৩ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি ফ্রি সিম দিতে আসলে এলাকার ফ্রি সিম নেয়। এসময় তারা হাতের আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও সদ্য তোলা ছবি নিয়ে ফ্রি সিম দেয়।
শারমিন জানান, আমিও ফ্রি সিমের লোভে পরে সিম নেই, এসময় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আমার ছবি ও আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়। তবে কিভাবে এই সিমে আমার ফেসবুক একাউন্ট, বিকাশ এবং পূবালী ব্যাংক একাউন্ট হল আমি জানিনা।
শারমিনের পরিবার ও এলাকাবাসির দাবী, শারমিনকে মিথ্যাভাবে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। এ বিষয়ে যেই অপরাধী হউক না কেন থাকে যেন সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসন দৃষ্টান্তমূলক বিচার করেন।
নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.আর সাঈদ বলেন, বাদীর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এজাহার নামীয় আসামী নাম ঠিকানা সঠিক এবং ব্যবহত ফোন নাম্বারে সঠিকতা যাচাই করে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্ত সঠিকতা নিশ্চিত করে পুলিশ রিপোর্ট প্রেরণ করা হবে।