টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুলিশের ছদ্মবেশে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ভোর ৪টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দেরুয়া আন্ডারপাস এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মির্জাপুর থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হওয়া একটি নোয়াহ গাড়ি (ঢাকা মেট্রো চ- ৫৩-৩২৩১), ১টি হ্যান্ডকাফ, ১টি পুলিশ ব্যাগ ও ৩টি ওভারকোট (পুলিশের পোশাক)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ঢাকার শ্যামপুর থানার করিমুল্লাহ বাগ এলাকার আব্দুল হালিমের ছেলে কাউছার আকরাম (৫৭) ও চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালমারী থানার পূর্ব গুমদ এলাকার মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে মো. শতকত আলী।
দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক নূর নবী জানান, রাতে মহাসড়কে টহলরত অবস্থায় দেরুয়া এলাকায় একটি নোয়াহ গাড়ির পাশে কয়েকজনকে সন্দেহজনক অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এগিয়ে গেলে তারা নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়।
তাদের কাছে পুলিশের ওভারকোট ও হ্যান্ডকাফ ছিল। তাদের পরিচয় বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করা হলে কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমার সাথে থাকা দুইজন কনস্টেবল তাদের ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। আমি ২জনকে আটক করতে সক্ষম হই।
ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে সমবেত হওয়ায় পেনাল কোডের ১৭০/১৭১/৩৯৯/৪০২ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জব্দকৃত গাড়ির মালিক মুহাইমুনিল ইসলাম বলেন, আমি এসিআই কোম্পানির ঢাকাস্থ কর্পোরেট অফিসে চাকরি করি। গাড়িটি আমি ব্যবহারের পাশাপাশি ভাড়া দেই।
নিজেদের পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় উবারের মাধ্যমে আমার গাড়িটি ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল যাওয়ার জন্য ভাড়া করে। রাত ৩টার দিকে আমার ড্রাইভার শওকত আমাকে ভয়েচ বার্তার মাধ্যমে জানান যে যারা গাড়িভাড়া করেছেন তাদের আচরণ সন্দেহজনক।
আমি ঘুমিয়ে থাকায় বার্তাটি ঐসময় দেখতে পারিনি। রাত পৌনে ৫ টার দিকে আমার ড্রাইভার আমাকে পুনরায় ভয়েচ বার্তার মাধ্যমে জানান তারা টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আমার ড্রাইভার প্রতারণার শিকার হয়ে মামলার আসামি হলো। তার জন্য আমার খারাপ লাগছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মো. জুয়েল মিয়া বলেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
মির্জাপুর থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের কারে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া অন্য আসামিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।