বরিশালের বাকেরগঞ্জে চাঁদার দাবিতে গৃহবধুর মাথায় কোপ দিয়েছেন চাচা শ্বশুর হাবেদ আলী, হাবেদের গাছ কাটা দায়ের কোপে ভাইয়ের ছেলের স্ত্রী সালমা বেগম নামে এক গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৯ মে) সকাল এগারোটায় সালমা বেগমের স্বামী শামীম হাওলাদারের বসত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহাত ছালমা বেগম ( ৩৯) রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বিরাঙ্গল গ্রামের শামীম হাওলাদারের স্ত্রী। অভিযুক্ত চাচা শ্বশুর হাবেদে (৫৫) একই গ্রামের মৃত মকবুল হাওলাদারের ছেলে।
এঘটনায় সালমার স্বামী শামীম হাওলাদার বাদী হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাকি অভিযুক্তরা হলেন হাবেদ আলীর দুই স্ত্রী শিরিয়া বেগম (৫০) আয়নোফি বেগম ( ৪৫) ও হাবেদের ছোট ভাই শাহিন হাওলাদারের স্ত্রী সাজেদা বেগম (৪০)।
স্থানীয় অভিযোগ সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বিরাঙ্গল গ্রামের মৃত আশরাফ আলী হাওলাদারের পুত্র শামীম হাওলাদারের সাথে আপন চাচা হাবেদ আলী হাওলাদারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে (৯ মে) শুক্রবার সকালে শামীম হাওলাদারের ঘরে মধ্যে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে সালমা বেগমকে মারধর করে। ও হাবেদ আলী গাছ কাটা দা দিয়ে সালমার মাথায় কোপ দেয়। ওই সময় সালমার বসত ঘরে থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার এবং ফার্মের কয়েক শত মুরগি লুটে নিয়ে যায়। সালমার ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার তাকে করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন, বর্তমানে তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন তার মাথায় ৮-১০টি সেলাই রয়েছে ।
এ বিষয়ে মামলার বাঁধি শামিম হাওলাদার সংবাদ মাধ্যম কে জানান মুরগির খামার থেকে তার চাচা প্রায়শই মুরগি নিয়ে জবাই করে খেতেন এতে বাধা দিলে মুরগি ব্যবসা করতে পারবে না বলে হুংকার দেয় এবং ব্যবসা করতে হলে তাকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে অনাথায় তারা মুরগির খাবারের ব্যবসা করতে পারবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় এর প্রতিবাদ করলে আমার স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করে তার মাথায় কোপ দেয় এতে আমার স্ত্রীর মাথায় দশটি সেলাই লাগে এবং হাবেদ আলী গংরা আমাদের খামার থেকে পাঁচ শতাধিক মুরগি নিয়ে যান। বর্তমানে আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। হাবেদ আলী হাওলাদারের বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানা সহ বিভিন্ন থানায় হত্যা সহ একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, শামীম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, কি কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।