টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপির তিনটি অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। রনি খান উপজেলার মাঝালিয়া গ্রামের হিকমত আলী খানের ছেলে। সে বানাইল ইউনিয়নের ভূষুন্ডী কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি হিসেবে কর্মরত আছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের মাঝালিয়া গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি জানায় যে, ক্লিনিকে আসা বিভিন্ন নারীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে অবৈধ মেলামেশা করেছে রনি। যার প্রমাণ অসংখ্য রয়েছে। তারা আরও বলেন ক্লিনিকের ঔষুধ চুরি করে তিনি তার নিজের ফার্মেসিতে রেখে বিক্রি করেন। রনিকে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে চাকরিচ্যুত ও শাস্তির দাবি জানান তারা।
আরো জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার(২৪ এপ্রিল) রনি খানের ১ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের একটি অশ্লীল ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।ওই ভিডিওতে তাকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ও তার অশ্লীল কথোপকথন শোনা যাচ্ছে।ভিডিওতে একজন নারীর কথা শুনতে পাওয়া গেলেও তার চেহারা দেখা যায়নি। ভিডিওতে রনি খানকে খোলামেলা আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়।কিন্তু তার প্রতি ক্ষীপ্ত জনগণের কেউই এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের করেননি।
এই বিষয়ে রনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি প্রতারণার শিকার। ফেসবুকের মাধ্যমে আফরিন রহমান নামের ঐ মেয়ের সঙ্গে পরিচয়ের সুবাদে ভিডিও কলে কথা বলার সময় গোপনে সে আমার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে আমি ঐ নারী ও(ফেসবুক আইডির)বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।
এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন,সিএইচপি রনি খানের বিষয়টা জেনেছি। এখনও এব্যাপারে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয় নাই।লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তীতে সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।