বগুড়া সদরে গৃহবধূ নির্যাতন মামলায় পুলিশ কর্তৃক দেওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুমন কুমার সরকার গ্রেফতার ও বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে প্রকাশ থাকে যে, বগুড়া সদরে গৃহবধূ মৌটুসী রানী কে যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও মারপিটের মামলায় স্বামী স্কুল শিক্ষক সুমন কুমার সরকারকে পুলিশ কর্তৃক ধৃত হয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। বাদিনী গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের হরিনা বাড়ি গ্রামের মৃত মহিন্দ্রনাথ সরকার এর কন্যা মৌটুসী রানী। এর সঙ্গে
বগুড়া জেলার পুরান বগুড়া সদর থানার সুমন কুমার সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ ৪-৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই যৌতুক লোভী সুমন কুমার সরকার প্রায়ই স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ ই এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে পুনরায় যৌতুকের দাবিতে এক সন্তানের জননী গৃহবধূ মৌটুসী রানী সরকার কে তার স্বামী, শশুর শাশুড়ি দেবর গণ পরস্পর যোগ সদস্যে অন্যায় যৌতুকের দাবিতে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও জখম করলে তিনি বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত ১৫ই এপ্রিল বগুড়া সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহা বগুড়া সদর থানার মামলা নং ৪০।
মামলার সূত্র ধরে বগুড়া সদর থানা পুলিশ ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে সুমন কুমার সরকারকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। মামলার বাদীনি মৌটুসী রানী (২৫) এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, তার পিতা-মাতা সুখের কথা ভেবে সর্নালঙ্কার সহ প্রায় ১৫ লক্ষাদিক টাকার উপঢোকন সুমন কুমার কে প্রদান করেছেন। তাতেও তার লোভ কমেনি।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই যৌতুক লোভী সুমন কুমার জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার দেওড়া উচ্চ বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক।
ঘটনায় মৌটুমি রানীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন সুমন সরকারের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওড়া উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক ধনঞ্জয় কুমার। এদিকে মৌটুসী রানী সরকার এই প্রতিনিধিকে জানান তার স্বামী যৌতুক লোভী সহকারী শিক্ষক সুমন কুমার সরকার এর বরখাস্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
যৌতুকের কবল থেকে অসহায় নারী মুক্তি পাক নির্যাতনকারীরা নিপাত যাক এই প্রত্যাশা সকল
অভিজ্ঞ মহলের।