নওগাঁর নিয়ামতপুরে জমিতে ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারের ওপর প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারী গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় গতকাল রোববার পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত বুধবার উপজেলার পানিশাইল গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম বোরহান। বাবার নাম মৃত ময়েজ উদ্দিন। বাড়ি পানিশাইল গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পানিশাইল গ্রামের বোরহান একই গ্রামের বসিন্দা মো. ফেরদৌস ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রায় দিন মারধর সহ বিভিন্নভাবে হুমকিধামকি দিত।
এ ব্যাপারে মো. ফেরদৌস বলেন, 'গত ২ এপ্রিল বেলা ১টার দিকে মো. ইয়াসিনের ছেলে তানভীরুল আমার ধানের জমিতে ধানের থোপের ভেতরের ঘাস কাটছিল। আমি তাকে ঘাস কাটতে নিষেধ করি। তখন তানভীর তার বাড়িতে চলে যায়। আমিও বাড়িতে চলে আসি। এর কিছুক্ষণ পরেই বোরহান ও ইয়াসিন সহ বেশ কিছু লোকজন আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমাকে,
আমার স্ত্রী পারভিন বেগম, ছেলে ফয়সাল পারভেজ ও মেয়ে তিশাকে মারধর করে।
তিনি আরও বলেন, 'এসময় আমাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত আমার স্ত্রী পারভিনকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মারধরে আহত ভিকটিম পারভীন বলেন, ঘাস কাটার ঘটনাসহ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদেরকে মারধর করা হয়েছে।
তবে অভিযুক্ত ইয়াসিন ও বোরহান ফেরদৌসের পরিবারকে মারধর করার বিষয় অস্বীকার করেন।
ফেরদৌস এ ঘটনায় গত শনিবার (৫ এপ্রিল) বোরহানসহ মোট ৫ জনকে অভিযুক্ত করে নিয়ামতপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ফেরদৌস বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে। মামলার মূল আসামী বোরহানকে গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।