1. info@www.jayjaysomay.com : দৈনিক যায়যায় সময় :
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
নদীভাঙনের মুখে শহীদের সমাধি, সংরক্ষণের দাবি পরিবার ও এলাকাবাসীর এতিম শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানেঃ ডিসি টাংগাইল জেলা প্রশাসকের সাথে নীলফামারী রিপোর্টার্স ক্লাবের নবগঠিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় মির্জাপুরে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. মাসুদ রানা গ্রেফতার পাবনায় চরমপন্থী দলের নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা বিএনপির পকেট কমিটি বাতিলের দাবিতে বাকেরগঞ্জে সড়ক অবরোধ  ধামইরহাটে আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানে গেট নির্মানে অনিয়ম নিয়ামতপুরে নবাগত ইউএনওর সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা সাভারে পৃথক স্থান থেকে ২ অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার  নীলফামারীতে অর্থের বিনিময়ে নতুন লোকজনদের অন্তর্ভুক্তের প্রতিবাদে সুবিধাভোগীদের মানববন্ধন 

নিয়ামতপুরে ঐতিহ্যবাহী বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত

নিয়ামতপুর(নওগাঁ)প্রতিনিধি:-
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁর নিয়ামতপুরে বারুণীপূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  প্রতিবছর চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে এই  অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গঙ্গা দেবীর আরেক নাম বারুণী। চৈত্র মাসের ত্রয়োদশ তিথিতে গঙ্গা দেবীর নামে প্রাচীনকাল থেকেই এই বারুণী পূজার প্রচলন হয়ে আসছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার ভাবিচা গ্রামের বারুণী মন্দিরে গঙ্গা দেবীর আরাধনার মধ্য দিয়ে বারুণীপূজা  শুরু হয়। বারুণী পূজাকে  কেন্দ্র করে মন্দির প্রাঙ্গণে গ্রামীণ  মেলা বসে।

দুপুরে মন্দির প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়,  প্রতিবারের মতো এবারও উৎসব ঘিরে মন্দির এলাকায়  মেলা বসেছে। মেলায় বিভিন্ন ধরনের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী ক্রয় করছেন লোকজন।মেলা ঘুরে দেখা গেছে- গরু, হাতি, ঘোড়া, উট, বক, পুতুল ইত্যাদি মাটির তৈরি খেলনা। মেয়েদের প্রসাধনীসামগ্রীর দোকান। মিষ্টির দোকান। দেশীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি  ছাড়াও গৃহস্থলির সামগ্রীর অনেক জিনিস উঠেছে। এছাড়াও গ্রাম বাংলার বিভিন্ন মুখরোচক খাবার দোকান রয়েছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন সামগ্রী কিনে নিচ্ছেন।

ভাবিচা বারুণী পূজা কমিটির সভাপতি নিহার রঞ্জন সরদার বলেন, ভাবিচা গ্রামে অনেকদিন আগে থেকেই বারুণী পূজা ও গ্রামীণ মেলা বসে। অনেক লোকজনের সমাগম হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও বারুণীপূজা হচ্ছে। দিনব্যাপী মেলারও আয়োজন করা হয়েছে।

মেলাতে এসেছিলেন টিপু মন্ডল ২৫)। তিনি বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকেই এই মেলাতে আসি। তখন আমাদের বাবা-দাদাদের সঙ্গে এ মেলায় আসতাম। এখন বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসি। অনেক লোকের সমাগম হয়। ভালোই লাগে।

মানিক মন্ডল (৪০) বলেন,  লোকজ সংঙ্কৃতির এই ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলাগুলোর উৎকর্ষতা আগের মতই স্বমহিমায় টিকে থাকুক। মানুষ প্রাণের টানে ছুটে আসুক এসব মেলায়। কালের আর্বতে ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় যেন ম্লান না হয়ে যায় গ্রামবাংলার এই লোকজ সংস্কৃতি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট