বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন,
ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। গনতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পূনপ্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হলেও গনতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পুন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। এদেশে বিজয় ইনশাল্লাহ আমরাই অর্জন করবো।
আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংঘ এই খেলার আয়োজন করে। মির্জাপুর পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মো. মাহামুদুর রহমান সানু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক, মির্জাপুর পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হাজী সোহরাব, খন্দকার মোবারক হোসেন, উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন প্রিন্স, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম মৃধা, পৌর কৃষক দলের আহবায়ক মান্নান খান মান্না, সদস্য সচিব সুলাইমান, উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান শপথ, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংঘের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন দিপু, সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম হোসেন প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বিগত সতের বছর ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী বুকের রক্ত দিয়েছে। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ অসংখ্য নেতা গুমের শিকার হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান আরাফাত রহমান কোকো রাজনীতি করতেন না। তিনি ছিলেন একজন ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। তারপরও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্মম নির্যাতনে শিকার হয়ে বিদেশের মাটিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ বিশ্ব দরবারে যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার পেছনে মূল ভূমিকা ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো।