বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজারহাটে স্কুল শিক্ষার্থীকে ৬ঘন্টা গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের নির্দেশদাতা ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিককে যৌথ বাহিনী আটক করেছে। তবে স্কুল ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় নয়, রাজনৈতিক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
জানা যায়,মঙলবার উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত নাখেন্দা গ্রামের মোস্তফা মিয়ার কন্যা ও ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোহনা আক্তারকে একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের বাড়ির উঠানে গাছের সাথে রশি দিয়ে ৬ঘন্টা বেঁধে রাখা হয়। এছাড়া আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে স্কুল ছাত্রী মোহানকে অমানবিক শারিরিক নির্যাতন করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিকের হুকুমে মেয়েটিকে গাছে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠলে চেয়ারম্যান বলেন, কিশোরীটি বেয়াদেব। মেরে তার পিঠের চামড়া ছিলে দেয়া উচিৎ ছিল। তার এই বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া রিপোর্টটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে মঙলবার রাতে মেয়েটির পিতা মোস্তফা মিয়া বাদী হয়ে আব্দুল কাদের সহ ৫জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও এতে উক্ত চেয়ারম্যানকে আসামী করা হয়নি। এঅবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে যৌথ বাহিনী চেয়ারম্যানের বাড়ি
থেকে তাকে আটক করে আদালতে প্রেরন করেন।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ তছলিম উদ্দিন গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিককে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।