টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পাল্টাপাল্টি হামলায় আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা সদরের মির্জাপুর বাইপাস বাসস্ট্যান্ড ও বাজারের মেইন রোডে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন উপজেলার গোড়াইল গ্রামের বাসিন্দা মমিনুর শিকদার, তাঁর ভাই সাদ্দাম শিকদার, চাচা সেলিম শিকদার, আলমগীর মৃধা, তাঁর দুই ভাই জাহাঙ্গীর ও আনোয়ার মৃধা, ভাগ্নে হাবেল মৃধা এবং বোন নিপা আক্তার। তাঁরা মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্র থেকে জানা যায় যে, গত ৫ আগস্ট উপজেলার গোড়াইল গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মৃধা একই গ্রামের ফয়সাল মিয়া ও মানিক মিয়া কে তুচ্ছ ঘটনায় মারধোর করেন। এর দুইদিন পর জাহাঙ্গীর মৃধার বড় ভাই ছানোয়ার মৃধার ছেলে ইথিন মৃধা ও পবন মৃধা ঐ গ্রামের বাসিন্দা মির্জাপুর কলেজের সাবেক ভিপি আবু সাঈদ মিয়াকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সাঈদ মিয়ার আত্মীয়রা জড়ো হয়ে মির্জাপুর বাজারের বংশাই রোডে জাহাঙ্গীর মৃধার ভাই উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যবসায়ী আলমগীর মৃধার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি গ্রাম্য সালিশে মীমাংসার কথা থাকলেও তা হয়নি।

এই ঘটনার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মির্জাপুর বাইপাস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফয়সাল মিয়ার সঙ্গে ইথিন মৃধা, তাঁর ভাই পবন মৃধা, রিপন মৃধা, রবিন মৃধার বাক বিতন্ডা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে একই স্থানে ঐ গ্রামের মমিনুর শিকদারকে ইথিন ও তাঁর ভাইয়েরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও মারার হুমকি দেন।

সর্বশেষ গত শুক্রবার রাত সাতটার দিকে বাইপাস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মমিনুর শিকদার দাড়িয়ে ছিলেন।
এই সময় হঠাৎ জাহাঙ্গীর তাঁর ভাতিজাদের নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর উপর হামলা চালান। এই সময় মমিনুলের চাচা সেলিম শিকদার এগিয়ে আসলে তাঁরা তাঁর উপরও হামলা চালায়। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মমিনুর ও সেলিম শিকদারের আত্মীয়রা জড়ো হয়ে ব্যবসায়ী আলমগীর মৃধার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে তাঁদের হামলায় আলমগীর মৃধা, তাঁর দুই ভাই জাহাঙ্গীর ও আনোয়ার, ভাগ্নে হাবেল এবং বোন নিপা আক্তার আহত হন। এই সময় উত্তেজিতরা আলমগীরের ষ্টেশনারী দোকানের মালামাল ভাঙচুর করেন।

পরে উভয় পক্ষের আত্মীয়রা চিকিৎসার জন্য আহতদের মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় থানায় সেলিম শিকদার ও জাহাঙ্গীর মৃধা বাদী হয়ে পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় থানায় পৃথক অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।