টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই সৈয়দপুর এলাকায় সরকারি রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী । একজন ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল বেলা সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে সেই বাঁশ দিয়ে বেড়া, সরকারি কাজে বাঁধা দিলে আটক করা হয় ১ জনকে। আটককৃত ব্যক্তির নাম হচ্ছে। সাইফুল ভূইয়া (৫০)
পিতা:(মৃত) বাছের ভূঁইয়া, সাং:বহুড়িয়া, চতলবাইদ, নলুয়া, সখিপুর, টাঙ্গাইল ।এতে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
সরজমিনে গিয়ে আরো জানা যায় যে, ছাত্রলীগ ঐ নেতার নাম জিহক খান রুদ্র। সে আজগানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি ও সৈয়দপুর গ্রামের মৃত আজম খানের ছেলে।
গত মঙ্গলবার রাতের আঁধারে সৈয়দপুর গ্রামের সহস্রাধিক জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র এই রাস্তাটি বাঁশ দিয়ে বেড়া দেয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে এলাকায় বসবাসকারী ৫০০ পরিবারের মত সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা জানায় সরকারি এ রাস্তাটি দিয়ে প্রায় হাজারো লোকজনের চলাফেরা। এই রাস্তাটি স্থানীয় এমএসবি ব্রিকস নামের একটি ইটভটার গাড়ীও চলাফেরা করে।
মূলত ইটভটার গাড়ি চলাচল নিয়েই এ রাস্তাটিতে বাঁশের বেড়া দেন ঐ ছাত্রলীগ নেতা।
স্থানীয় আরো আরো জানা যায় যে,
গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঐ রাস্তাটি ব্যবহার করায় এমএসবি ব্রিকসের ইটভাটার মালিকের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিতো ছাত্রলীগ নেতা রুদ্র। শেখ হাসিনার পতনের পর সারাদেশের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। এবার ঐ ভাটার মালিক টাকা দিতে অস্বীকার করায় রাস্তাটিতে বাঁশের বেড়া দেয়। এতে করে ঐ গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলে দুর্ভোগ নেমে আসে। স্থানীয় সূত্র থেকে আরো জানা যায় যে,সরকারি জমি দখল করে দোকানপাট ভাড়া,সৈয়দপুর আইডিয়াল স্কুলের জমিও সরকারি জমিতে গড়ে উঠেছে।সরকারি জমির একটি সাইনবোর্ড ছিল সেটিও রাতের আধারে সরিয়ে ফেলেছে তারা।
রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের বাসা–বাড়িতে কাজের জন্য ইট বালু ও সিমেন্ট নিতে আনতে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। এক ট্রাক মাটির প্রয়োজন হলেও নেওয়া যাচ্ছে না। অতি প্রয়োজন হলে সড়কের পাশে নামিয়ে ভ্যান দিয়ে আনতে হয়, তাতে খরচ দিগুণ হয়। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে, ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি জিহক খান রুদ্র সরকারি খাস খতিয়ানে জায়গাটিতে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কয়েকটি দোকানপাট গড়ে তুলেন। যথারীতি ভাড়াও তোলেন তিনি। পাশাপাশি রাস্তা ব্যবহার করায় প্রতিবছর ইটভাটার মালিক নুর মোহাম্মদ এর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিতেন।
আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে যাওয়ায় রাস্তাটি ব্যবহারের টাকা নিতে পারছে না। এজন্য রাতের আঁধারে একটি দোকানঘর নিজেই ভেঙে ইটভাটার মালিক নুর মোহাম্মদ ও তার ছেলে মোশারফকে দোষারপ করে মামলা দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। আরো জানা যায় যে, ছাত্রলীগের ঐ নেতা ছাত্র আন্দোলন দমাতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে। এছাড়া তার বাহিনী নিয়ে ছাত্রদের মিছিলে আক্রমণ করেছে তারপরও দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন ঐ ছাত্রলীগ নেতা,তার খুটির জোর কোথায়।
সেনাবাহিনীর এমন কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী খুবই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং সেনাবাহিনীর প্রতি বিশ্বাস আরো বেড়ে গেছে বলে তারা সাংবাদিকদের জানায়।