মো. সাইফুল ইসলাম নাজীর, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, পঞ্চগড়। আপনারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে গত ২০-১২/২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখ রোজ শুক্রবার মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ , অনুষ্ঠিত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত , পঞ্চগড় এর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের দুইদিন ব্যাপী নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম দিনের সকাল ১০.০০ ঘটিকার পরীক্ষা চলাকালীন কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার বিষয় জেনেছেন। ঘটনা এক তরফা ভাবে মিডিয়ায় যেভাবে এসেছে, বাস্তব ঘটনার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে যা আপনাদের অনেকের জানা নাই।
গত ১০/১২/২০২৪খ্রিঃ তারিখে এই আদালতের নেজারত বিভাগ হতে গত ২০/১২/২০২৪ ও ২১/১২/২০২৪খ্রিঃ তারিখ নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণ করার জন্য অধ্যক্ষ বরাবর অনুরোধসহ আনুষ্ঠানিকভাবে পত্র প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তীতে পঞ্চগড়ের মাননীয় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মেহেদী হাসান মন্ডল স্যার অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে পরীক্ষার তারিখ ও আনুষাঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিস্তারিত আলাপ করেন এবং কলেজের অধ্যক্ষের মতামত অনুযায়ী পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
পরবর্তীতে গত ১৫/১২/২০২৪ খ্রিঃ তারিখে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব জনাব মো. আশরাফুজ্জামান সরেজমিনে সেই কলেজে উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষের সাথে আলোচনা করেন এবং উক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে একাডেমিক কাম এক্সমিনেশন ভবন ও একাডেমিক পুরাতন ভবন কলা এই দুইটি বিল্ডিং এ পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত দুইজন শিক্ষক ও কর্মচারী এর দেওয়া তথ্য মোতাবেক দুইটি বিল্ডিং এর প্রতিটি কক্ষে প্রবেশ করে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী বেঞ্চ পুনবিন্যাস করা হয়। পরীক্ষার দিন রাতে অর্থাৎ গত ১৯-১২-২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে একজন সরকারী জজ ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিছু কর্মচারী সহ সেই কলেজে গিয়ে আসন বিন্যাস সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করে আসেন।
গত ২০-১২ ২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে আমরা জানতে পারি যে পাঁচ তলা বিল্ডিং এর পঞ্চম তোলার ৫০৪ ও ৫০৫ নং কক্ষ দুটি তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে এবং পরীক্ষার্থীরা কক্ষের বাহিরে অপেক্ষমান আছে সেই সময়ে তাৎক্ষণিক অধ্যক্ষকে অবহিত করলে উনি কিছুক্ষণ পর জানান যে সেই দুই কক্ষের চাবি যার কাছে আছে সে ছুটিতে এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ এই অবস্থায় পুনরায় উক্ত বিষয়ে অধ্যক্ষ কে বলা হলে তিনি হাতুড়ি দিয়ে তালা ভাঙ্গার কথা বলেন কিন্তু কলেজের কোন স্টাফ সে ব্যাপারে কোন সহযোগিতা করে নাই।
ইতিমধ্যে পরীক্ষার নির্ধারিত সময় হয়ে গেলে উক্ত দুইটি কক্ষ ব্যতীত বাকি ১২ টি কক্ষে পরীক্ষা শুরু করা হয় তারা কেন পরীক্ষা দিতে পারছে না তা নিয়ে আন্দোলন শুরু করে দেয়।