1. info@www.jayjaysomay.com : দৈনিক যায়যায় সময় :
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
নীলফামারীর ডোমারে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক ৫ রোহিঙ্গাকে পুশইনের তথ‍্য জানাল বিজিবি মির্জাপুরে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার-১ সৌদি আরব পৌঁছিয়েছেন ৪৪ হাজারের বেশি হজ্জ্ব যাত্রী  নিয়ামতপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত  মরদেহ উদ্ধার মির্জাপুরে পুলিশের ছদ্মবেশে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ২ বোয়ালমারীতে মৎস্যজীবীদের মাঝে গবাদি পশু বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ মৎস্য কর্মকর্তার অপসারণ দাবি নীলফামারীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান নাগেশ্বরীতে বজ্রপাতে পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু মির্জাপুরে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

সরকারি প্রকল্পের কাজ না করেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

রংপুরের পীরগঞ্জে কাজ না করেই অস্তিত্বহীন প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উপজেলার ৭নং বড় আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সেলিমের বিরুদ্ধে। গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩ বরাদ্দকৃত ৩ টি প্রকল্প কাগজে-কলমে প্রকল্পটি শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে সবকটি প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মিয়া । শুধু তাই নয়, প্রকল্পে আপন ছোট ভাই হাফিজ আব্দুন নুর সোহেলকে ঠিকাদার সাজিয়ে ভুয়া মাস্টার রোলের মাধ্যমে বরাদ্দের অর্থও পরিশোধ করা হয়েছে। অথচ সরেজমিনে এ সকল প্রকল্পের কোনোই অস্তিত্ব মেলেনি।

অত্র ইউনিয়নের বেকার যুবক ও যুবতীদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে আয় বর্ধক ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের নামে বরাদ্দ ছিলো ৭৫ হাজার টাকা। ইউনিয়ন পরিষদের পুকুর পাড়ে বিনোদন পার্ক স্থাপনের নামে বরাদ্দ ছিলো ২ লাখ টাক। ইউনিয়ন পরিষদসহ পত্নীচড়া বাজার ও আশপাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে বরাদ্দ ছিলো ১ লাখ ৪৩ হাজার ১৫২ টাকা। ৩ টি প্রকল্পে মোট ৪ লাখ ১৮ হাজার ১৫২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাবসহ জাতীয় সংসদ এর সাবেক স্পীকারের প্রভাব দেখিয়ে এসব অনিয়ম দূর্নীতি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মিয়া। সরকারি অর্থ অপচয় ও অনিয়ম-দুর্নীতির বহুল প্রচলিত কৌশল হিসেবেই দেখছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে নানা দপ্তরে অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নের নানা শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষ।

বড় আলমপুর ইউনিয়নের নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ক’জন স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্তমান চেয়ারম্যানের আমলে নাকি কোনো বরাদ্দই নাই, এখন শোনোছি অনেক টাকা বরাদ্দ আইছিলো ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাকি কাজ না করি সব খাইছে। ইউনিয়ন পরিষদে এমন দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের দরকার নাই, তার শাস্তি এবং অপসারণ চাই।

বড় আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আশরাফুল আলমের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন তার কাছ থেকে বেশকিছু কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে চেয়ারম্যান তবে বরাদ্দ হয়েছিলো বরাদ্দের সব টাকা চেয়ারম্যান এর কাছে আছে আমিও অনেকদিন চেয়ারম্যানকে কাজের জন্য বলে আসতেছি সে করবো করবো বলে সময় নিচ্ছে এতে আমিও মহা বিপদে আছি। অথচ কাগজে কলমে প্রকল্পের সব কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে চেয়ারম্যান সেলিম মিয়ার আপন ছোট ভাই হাফিজ আব্দুন নূরকে ঠিকাদার দেখিয়ে প্রকল্পের সব টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য শিমুল মিয়া জানান আমি নিজেও তিনটা প্রকল্পের সভাপতি ছিলাম আমাকে কোনো কিছু না বলেই প্রকল্পের টাকা নিজেই উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।

ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সুরুজতারার বেশ কয়েকটি প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন কেনো কাজ করা হয়নি এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন টাকা তুলেছি তবে কাজ করা হবে আর সব বিষয় চেয়ারম্যান জানে আমি বেশি কিছু জানি না।

৯নং ও ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আশরাফুল আলম ও আবু তাহেরের কাছে প্রকল্পের কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব প্রকল্পের কোনো কাজই হয়নি এটা সত্য, তবে প্রকল্পের টাকা চেয়ারম্যান উত্তোলন করে কি করেছেন আমরা জানি না। অন্যান্য ইউপি সদস্যরাও জানান এসব প্রকল্পের টাকা চেয়ারম্যান উত্তোলন করেছে তবে কোনো কাজ করা হয়নি। তবে জেনেছি সে প্রকল্পের সব টাকা উত্তোলন করে চেয়ারম্যান কি করেছে আমরা তা জানি না।

এ ব্যাপারে বড় আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সেলিম মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই বলে ফোন কেটে দেন।

পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ খাদিজা বেগম বলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে রংপুরের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (উপসচিব) রায়হান কবির জানান, ইউপি চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট