স্থানীয় বাসিন্দা তাসাউর রহমান বলেন, আমাদের এলাকায় মোট ৫টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটা প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণ করে আসছে। আমরা প্রশাসনকে একাধিকবার ব্যবস্থা নিতে বললেও কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। আজ জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেট এখানে এসে তিনটি ভাটা ভেঙে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় এলাকাবাসী তাদের গাড়ি গতিরোধ করে। তার দাবী টাকা দিয়ে লাইসেন্স নিয়ে এসে অবৈধভাবে ভাটা চালায় ২ প্রভাবশালী।
এ কারনেই তাদের ভাটাগুলো বার বার অক্ষত থেকে যাচ্ছে। বিক্ষোভকারী শহিদুল ইসলাম জানান, ৪ সেপ্টেম্বরের মানববন্ধনে গিয়ে ইউএনও কে স্মারকলিপি দেয়ার সময় তিনি বৈধ৩/৪ টি ভাটা বাদে সবগুলো অবৈধ এবং সবগুলো উচ্ছেদ করা হবে এমন আশ^াস দেয়ার পরও অজ্ঞাত কারনে ভাটাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছেনা। আর গ্রামে এসব ভাটা হওয়ায় বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে এ এলাকার মানুষ। তিনি ক্ষোভের সাথে জানান, প্রভাবশালী ২ ব্যক্তির বাড়ি শ্যামপুরের বাবুপুরে এবং তারা আমদানীকারক হবার কারনে টাকার বিনিময়ে প্রশাসন কে ম্যানেজ করে কয়েক কিলোমিটার দুরে কয়লারদিয়ারে ভাটা নির্মান করেছে।
যা রীতিমত অন্যায়। স্মার্ট ইট ভাটার মালিক কাওসার আলী জানান, পাশাপাশি ৫ টি ভাটা থাকলেও যে দুটো চালু আছে সেগুলো পরিবেশগত ভাবে অনুমোদন পাবার উপযোগী নয়। অর্থের বিনিময়ে তারা কাগজ এনে ব্যবসা করছে। অথচ তার ও সনি ভাটায় এর আগে কয়েক দফা অভিযান চালানো হলেও ঐ ২ টো তে অভিযান চালানো হয়না। তাদের ২ টি ভাঙ্গা হলোনা কিন্তু আমাদের ৩ টি ভেঙ্গে ফেলা হলো। তিনি দাবী করেন প্রভাবশালী ঐ ২টি ভাটাও উচ্ছেদ করতে হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ বলেন, এলাকাবাসী যে দুইটি ইটভাটা ভেঙে দেওয়ার কথা বলছেন, তাদের লাইসেন্স রয়েছে। এজন্য তাদের ইটভাটাগুলো ভেঙে দেওয়া হয়নি। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির ব্যবস্থা নেয়া হবে।