বিরামপুরে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় “খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চাল বিক্রির লাভের টাকা বিএনপি’র সভাপতি পকেটে” প্রকাশিত সংবাদের শিরোনামে প্রতিবাদ করেছেন দিওড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল। এ সময় তিনি বলেন সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সাংবাদিকেরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেই চলেছে।
ইদানিং কিছু হলুদ সাংবাদিক সংবাদ পরিবেশনের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে চলেছে।
আপনাদের মত সৎ ও সাহসী সাংবাদিকদের পক্ষেই এসব হলুদ সাংবাদিকদের প্রতিহত করা সম্ভব। এমন হলুদ সাংবাদিকতার একটি নমুনা তুলে ধরা হল,আপনারা অবগত আছেন যে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় গত ৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ দিনাজপুর বিরামপুরে ” খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চাল বিক্রির লাভের টাকা বিএনপির সভাপতির পকেটে ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদে আমার বক্তব্য দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা তাদের মনগড়া ভাবে তুলে ধরেছে,যা সঠিক নয়। এমন কোন বক্তব্য আমি দেইনি। সংবাদের একটি অংশে লেখা হয়েছে,আমার ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৪১৪ জন সুবিধাভোগী রয়েছেন। বিগত দিনগুলোতে এখানে তিনজন ডিলারের মাধ্যমে চাল বিক্রি করা হতো। এবার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডিলারদের চাল উত্তোলনের জন্য ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে দেয়নি। বিএনপি নেতারা নিজেরাই দিয়েছেন।
আর ইউপি সচিবের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের কাছে চাল বিক্রির পর লাভের টাকা ওই বিএনপির নেতারা নিয়েছেন। এবারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে উপজেলা প্রশাসন ও বিএনপি নেতারা আমাকে সম্পৃক্ত হতে দেয়নি। আমাকে উদ্ধৃতি দিয়ে উপরোক্ত বক্তব্যটি প্রথম আলো পত্রিকায় তাদের ইচ্ছেমতো মনগড়া ভাবে বানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট আমাকে প্রথম আলো পত্রিকার স্থানীয় বিরামপুর প্রতিনিধি নুর আলম মোবাইল ফোনে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা বলেছিলাম। আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে প্রথম আলো পত্রিকা আমার নামে তাদের পত্রিকায় মনগড়া বক্তব্য প্রকাশ করেছে। যার কোন সত্যতা নেই এবং আমি প্রথম আলো পত্রিকার প্রতিনিধির কাছে এ ধরনের কোন বক্তব্য দেয়নি। প্রকৃত পক্ষে আমার ইউনিয়নের সরকারি নিয়ম মেনে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চাল বিক্রি করা হয়েছে এবং সুবিধাভোগীরা সক্রিয়ভাবে তাদের প্রাপ্য চাল উত্তোলন করেছেন।
দিওড় ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল উত্তোলন বা বিক্রির সাথে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় পরায়ন হয়ে একটি অসাধুচক্র উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির মান সম্মান নষ্ট করার উদ্দেশ্যে প্রথম আলো পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে।
মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমার নামে মনগড়া বক্তব্য সাজিয়ে প্রথম আলো পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। দিওড় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আমি মোঃ আব্দুল মালেক মন্ডল চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ বিরামপুর দিনাজপুর এ ভিত্তিহীন ও বানোয়ার সাংবাদে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে ভবিষ্যতে যেন সত্যতা যাচাই করে প্রমাণ সাপেক্ষে যে কোন সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করা হয় সেই বিষয়ে দৃষ্টি রাখার জন্য সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করছি।